বিশেষ: রোজ মাত্র ৭০ টাকা জমিয়ে ৩ লক্ষ টাকা রিটার্ন, জেনেনিন পোস্ট অফিসের দুর্দান্ত স্কিম সম্পর্কে

বর্তমান যুগে প্রতিটি মানুষই এমন এক বিনিয়োগের সন্ধানে থাকেন, যেখানে ঝুঁকি কম অথচ মুনাফা বেশি। সরকারের বিভিন্ন ছোট সঞ্চয় প্রকল্পগুলোর মধ্যে পোস্ট অফিসের পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) স্কিমটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের জন্য এক দারুণ সুযোগ নিয়ে এসেছে। সামান্য সঞ্চয়ে কিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার তহবিল গড়ে তোলা যায়, পিপিএফ তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।

কী এই পোস্ট অফিস পিপিএফ স্কিম?

পোস্ট অফিসের পিপিএফ একটি জনপ্রিয় দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় প্রকল্প। এটি মূলত ১৫ বছরের একটি লক-ইন পিরিয়ড সহ আসে, যার অর্থ আপনাকে টানা ১৫ বছর ধরে এই প্রকল্পে নিয়মিত বিনিয়োগ করতে হবে। এই স্কিমে বিনিয়োগকারীরা প্রতি বছর ন্যূনতম ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা করতে পারেন। এই মুহূর্তে, পিপিএফ স্কিমে বার্ষিক ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়, যা অন্যান্য অনেক সঞ্চয় প্রকল্পের তুলনায় যথেষ্ট আকর্ষণীয়। এই সুদের হার সরকার দ্বারা ত্রৈমাসিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়, তবে এটি ঐতিহাসিকভাবে স্থিতিশীল এবং নিরাপদ বলে বিবেচিত।

প্রতিদিন ৭০ টাকা সঞ্চয়ের ম্যাজিক

চলুন দেখে নেওয়া যাক, কিভাবে প্রতিদিন মাত্র ৭০ টাকা সঞ্চয় করে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার তহবিল গড়ে তোলা সম্ভব।

দৈনিক সঞ্চয়: ৭০ টাকা

মাসিক সঞ্চয়: ৭০ টাকা x ৩০ দিন = ২,১০০ টাকা (প্রায়)

বার্ষিক সঞ্চয়: ২,১০০ টাকা x ১২ মাস = ২৫,২০০ টাকা (প্রায়, ধরা যাক ২৫,০০০ টাকা)

যদি আপনি প্রতি বছর এই ২৫,০০০ টাকা পোস্ট অফিসের পিপিএফ স্কিমে নিয়মিতভাবে ১৫ বছর ধরে বিনিয়োগ করেন, তবে আপনার মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে:

মোট বিনিয়োগ: ২৫,০০০ টাকা/বছর x ১৫ বছর = ৩,৭৫,০০০ টাকা

আর ১৫ বছর মেয়াদ পূর্তিতে আপনি যে অর্থ ফেরত পাবেন, তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো:

মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত মোট তহবিল: ৬,৭৮,০৩৫ টাকা

অর্থাৎ, আপনি আপনার বিনিয়োগ করা ৩,৭৫,০০০ টাকার ওপর অতিরিক্ত ৩,০৩,০৩৫ টাকা সুদ হিসেবে লাভ করছেন! এটি একটি কর-মুক্ত বিনিয়োগ বিকল্প হওয়ায় এই সুদও করের আওতায় আসে না, যা একে আরও লাভজনক করে তোলে।

যারা নিরাপদ এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের মাধ্যমে বড় অঙ্কের তহবিল সংগ্রহ করতে চান, তাদের জন্য পোস্ট অফিসের পিপিএফ স্কিম একটি চমৎকার বিকল্প। বিশেষ করে যারা চাকরির শুরু থেকে অল্প অল্প করে সঞ্চয় করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য এই স্কিম ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় এক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।