পোড়া মুখ, নগ্ন শরীর, অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য ঘটনায়

উত্তর দিনাজপুরের কানকি ফাঁড়ি এলাকার নাজিরপুর গ্রামে একটি জলাভূমি থেকে বৃহস্পতিবার এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যুবকের মুখ পোড়া, গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ এবং শরীরে কোনো পোশাক না থাকায় হত্যাকাণ্ডটি অত্যন্ত নৃশংস বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বৃহস্পতিবার সকালে নাজিরপুর গ্রামের ওই জলাজমিতে মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে কানকি পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নৃশংসতার চিহ্ন স্পষ্ট:
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা এই ধরনের ঘটনায় স্তম্ভিত। দিলীপ ব্যাপারী নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “সকালে শুনলাম এখানে একটা দেহ পড়ে আছে। এসে দেখি একদমই কম বয়সী ছেলে। পুলিশকেও জানানো হয়েছে। তবে দেহ চেনা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে নৃশংসভাবে মেরেছে। পুড়িয়ে দিয়েছে, হাত ভাঙা, গলার নলি কাটা। এমন ঘটনা আগে কখনও এই এলাকায় ঘটেনি।” তাঁর বর্ণনায় হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
পুলিশের তদন্ত শুরু:
মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কানকি ফাঁড়ির পুলিশ। ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার জবি থমাস এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, যুবককে অন্য কোথাও হত্যা করে পরে দেহটি এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, এবং এর পেছনের কারণ কী, তা জানতে তদন্তকারীরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছেন। আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃত যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে, যা তদন্তের পরবর্তী ধাপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনায় শান্ত নাজিরপুর গ্রামে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।