ভিন রাজ্যে বাংলা ভাষাভাষীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজপথে নামার ঘোষণার পরই তাঁকে ‘মিথ্যেবাদী’ বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, এই মিছিল আসলে ‘ভোটব্যাঙ্কের লক্ষ্যে বাঙালি হিন্দুদের থেকে সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা’, যেখানে ‘জেহাদি, রোহিঙ্গা ও অনুপ্রবেশকারীরা’ হাঁটবে।

অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ: ‘শুধুই জেহাদি ও অনুপ্রবেশকারী যাচাই করা হচ্ছে’
আজ কাঁকিনাড়া বাজারে নারী নির্যাতন, শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি, কসবায় আইন কলেজে গণধর্ষণসহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপির এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত হয়ে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “ভিন রাজ্যে কোথাও বাঙালি হিন্দুদের হেনস্থা করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র জেহাদি, রোহিঙ্গা ও অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড চেক করা হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রীর আগামীকালকের মিছিলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আগামীকাল পিসি-ভাইপোর মিছিল আসলে ভোট ব্যাঙ্কের লক্ষ্যে বাঙালি হিন্দুদের থেকে সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা। ওই মিছিলে হাঁটবে যত তোলাবাজ, মাদক বিক্রেতা এবং জেহাদি, রোহিঙ্গারা। এমনকি সিভিক ভলান্টিয়াররাও মিছিলে হাঁটবেন।”

‘উত্তরকন্যা অভিযান’ এবং ‘কত ধানে কত চাল’
অর্জুন সিং আরও বলেন, “উত্তরকন্যা অভিযানকে মমতা ব্যানার্জি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। কিন্তু সেদিন উনি বুঝে যাবেন, কত ধানে কত চাল।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে লঘু করে দেখার অভিযোগ তুলেছেন।

সভায় উপস্থিত বিজেপি নেতৃত্ব
এদিনের সভায় অর্জুন সিংয়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়, ভাটপাড়া-২ মন্ডল সভাপতি সুরজ কুমার সিং, প্রাক্তন কাউন্সিলর সোহন প্রসাদ চৌধুরী, বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে ও সঞ্জয় সিং, বীজপুরের যুব নেতা সুদীপ্ত দাস, সন্তোষ রায়, বর্ষীয়ান শ্রমিক নেতা ওঙ্কার নাথ সাউ, মৌ গুপ্তা, রাজু শ্রীবাস্তব, বিনয় মন্ডল, ভরত যাদব, দীপক সাউ, রাজ বিশ্বাস, উমেশ রায় প্রমুখ।

অর্জুন সিংয়ের এই মন্তব্য নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে যখন রাজ্য জুড়ে বাংলা ভাষাভাষীদের হেনস্থা নিয়ে সংবেদনশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, তৃণমূল এই মন্তব্যের কী জবাব দেয়।