শ্রাবণ মাসে শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন এই ৫ পাতা, তাহলেই আপনার উপর প্রসন্ন হবেন মহাদেব! জানুন

শ্রাবণ মাস শিবভক্তদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র। এই মাসে ভোলেবাবাকে সন্তুষ্ট করার জন্য ভক্তরা উপবাস, পূজা-পাঠ এবং প্রতি সোমবার শিবলিঙ্গে দুধ ও জল নিবেদন করেন। তবে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, শ্রাবণ মাসে শিবলিঙ্গে ৫ ধরণের বিশেষ পাতা নিবেদন করলে মহাদেব দ্রুত প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন।

আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই ৫টি বিশেষ পাতা সম্পর্কে:

১. শমী পাতা: শিবলিঙ্গে শমী পাতা নিবেদন করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, শমী পাতা ভগবান শিবের খুব প্রিয়। শিবলিঙ্গে এটি নিবেদন করলে ভগবান শিব প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের ইচ্ছা পূরণ করেন।

২. দুর্বা ঘাস: শিবলিঙ্গে দুর্বা ঘাস নিবেদন করাও শুভ বলে বিবেচিত হয়। দুর্বা ভগবান শিবকে সন্তুষ্ট করার এবং তাঁর আশীর্বাদ পাওয়ার একটি সহজ উপায়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, দুর্বাতে ইতিবাচক শক্তি থাকে এবং শিবলিঙ্গে এটি নিবেদন করলে ঘর ও জীবন থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।

৩. ভাং পাতা: শিবলিঙ্গে ভাং নিবেদন করলে ঘর এবং জীবন থেকে নেতিবাচকতা দূর হয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে, ভাঙে উপস্থিত ঔষধি গুণ মাথাব্যথা, উত্তেজনা এবং ঘুম সম্পর্কিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, সমুদ্র মন্থনের সময় বিষ পান করার পর মহাদেবের শরীর শীতল করতে ধুতুরা ও ভাং নিবেদন করা হয়েছিল।

৪. ধুতুরা পাতা: ধুতুরা ভগবান শিবের অত্যন্ত প্রিয় এবং শিবলিঙ্গে এটি অর্পণ করা শুভ বলে বিবেচিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে শিবলিঙ্গে এটি অর্পণ করলে ভগবান শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান শঙ্কর সমুদ্র মন্থনের সময় যে বিষ বের হয়েছিল তা পান করেছিলেন, যার পরে তার শরীরে বিষের প্রভাব শুরু হয়েছিল। বিষের প্রভাব কমাতে দেবতারা ভোলে বাবাকে ধুতুরা এবং ভাঙ অর্পণ করেছিলেন, যা তাকে শান্তি দেয়।

৫. বেলপত্র: শিবলিঙ্গে বেলপত্র অর্পণ করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। বিশেষভাবে খেয়াল রাখবেন যে বেলপত্রে তিনটি পাতা থাকা উচিত, যা ত্রিদেবের (ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ) প্রতীক। ভাঙা বা খণ্ডিত বেলপত্র কখনও শিবলিঙ্গে অর্পণ করা উচিত নয়।

পাঠকদের প্রতি বিশেষ বার্তা: এই প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন বা কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।