বাইরে গিয়েছিল মা…! নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ, অভিযুক্ত চার নাবালক

উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তার নিজের বাড়িতেই গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় চারজন নাবালকের নাম অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে, যাদের মধ্যে তিনজনই নির্যাতিতার স্কুলের সহপাঠী। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় এবং জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ইনস্টাগ্রামের সূত্রে আলাপ, বাড়িতে ঢুকে পাশবিক হামলা
পুলিশ সূত্রে খবর, গত রবিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সেই সময় কিশোরী বাড়িতে একাই ছিল, কারণ তার মা বাজারে গিয়েছিলেন। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত নাবালকদের একজনের সঙ্গে ওই নির্যাতিতার ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল। রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ অভিযুক্ত ওই নাবালক নির্যাতিতার বাড়িতে আসে। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই আরও তিনজন জোর করে কিশোরীর ঘরে ঢুকে পড়ে এবং একে একে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

মায়ের সামনেই নৃশংস ঘটনা, পুলিশ আসার আগেই অভিযুক্তরা পগারপার
তদন্তে উঠে আসে, এই ঘটনার সময়েই বাজার থেকে ফিরে আসেন নির্যাতিতার মা। বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন দরজা খোলা। বাড়ি ঢুকতেই তিনি দেখেন, তাঁর মেয়ের উপর চার অভিযুক্ত অত্যাচার চালাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত মা দ্রুত মেয়েকে টেনে বাইরে বের করে আনেন এবং ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন।

এরপরই নির্যাতিতার মা পুলিশকে খবর দেন। তবে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ওই আবাসনের বেশ কিছু ব্যক্তি অভিযুক্ত নাবালকদের ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

পুলিশি তৎপরতা, কিন্তু গ্রেফতারি অধরা
কবিনগর থানার এসিপি ভাস্কর ভার্মা এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “প্রত্যেকেই ক্লাস ১১, ১০ এবং ৯ -এর ছাত্র। নির্যাতিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কিশোরীর বয়ান এখনও রেকর্ড করা হয়নি। তার বাবা এফআইআর (FIR) দায়ের করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্ত এখনও চলছে।”

এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশি ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, কারণ অভিযুক্তরা নাবালক হওয়া সত্ত্বেও তাদের ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। সমাজের এই ভয়াবহ দিকটি আবারও নারী ও শিশুদের সুরক্ষার বিষয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করল।