ডিভিসির জলে বন্যার আশঙ্কা বাংলার ৪ জেলায়! ক্ষুদ্ধ হয়ে ডিভিসিকে কড়া ইমেইল রাজ্য সরকারের

পশ্চিমবঙ্গের দামোদর নদের তীরবর্তী এলাকাগুলি আবারও প্লাবনের আতঙ্কে ভুগছে। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) থেকে ক্রমাগত জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানোয় রাজ্য সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ফের ডিভিসিকে কড়া ভাষায় ইমেইল পাঠিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নবান্ন অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।
সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পশ্চিম বিভাগ) নবান্নের নির্দেশ অনুযায়ী ডিভিসিকে পরপর ইমেইল পাঠিয়েছেন। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, “মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারগুলির যে জল ধারণ ক্ষমতা রয়েছে, তাতে জল ধরে রাখতে সক্ষম এই জলাধারগুলি। তারপরেও কেন লাগাতার জল ছাড়া হচ্ছে?”
মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে ডিভিসিকে পাঠানো ইমেইলগুলিতে রাজ্য সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, “ডিভিসির জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার দরুণ যা যা ক্ষতি হবে তার দায় নিতে হবে ডিভিসিকেই।” এই কড়া বার্তা জল ছাড়ার কারণে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এবং তার দায়বদ্ধতা নিয়ে রাজ্য সরকারের কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।
ডিভিসির জলাধারগুলি থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ার জেরে হুগলি-সহ একাধিক নিম্নভূমি এলাকা নতুন করে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বর্ষাকালে ডিভিসি থেকে জল ছাড়াকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে ডিভিসির সংঘাত দেখা যায়। রাজ্যের অভিযোগ, ডিভিসি অপরিকল্পিতভাবে জল ছাড়ার ফলে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয় এবং জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। অন্যদিকে, ডিভিসি দাবি করে থাকে যে, জলাধারের সুরক্ষা এবং অতিরিক্ত জল ধারণ ক্ষমতা না থাকার কারণেই জল ছাড়তে তারা বাধ্য হয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, দামোদর তীরবর্তী জেলাগুলির মানুষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাজ্য সরকার এবং ডিভিসির মধ্যে এই টানাপোড়েন কবে শেষ হবে এবং প্লাবনের আশঙ্কা থেকে সাধারণ মানুষ কবে মুক্তি পাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।