ইয়েমেনে ভারতীয় কন্যা নিমিশার ফাঁসি পিছিয়ে গেল, জেনেনিন মৌলানা ঠিক কী করছেন?

বুধবার ইয়েমেনে কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়ার ফাঁসির নির্ধারিত তারিখের ঠিক একদিন আগে একটি বড় খবর এসেছে। জানা গেছে, আপাতত তাঁর মৃত্যুদণ্ড পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচানোর জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আপ্রাণ চেষ্টা চলছিল, আর এই স্থগিতাদেশ সেই প্রচেষ্টারই ফল বলে মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার এই প্রচেষ্টায় আসরে নামেন গ্র্যান্ড মুফতি অফ ইন্ডিয়া নামেই পরিচিত সুন্নি মৌলানা কান্থাপুরম এপি আবুবাকার মুসলিয়ার। নিমিশা প্রিয়া যে ইয়েমেনি নাগরিক তালাব আবদো মাহদিকে খুনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তাঁর পরিবারের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসেছেন। মৌলানা ‘ব্লাড মানি’ নিয়ে নিমিশা প্রিয়াকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি রেখেছেন।

৯৪ বছর বয়সী এই মৌলানা ইয়েমেনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেও কথা বলেছেন। মঙ্গলবার ধামার এলাকায় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল, যেখানে প্রসিদ্ধ পণ্ডিত এবং সুফি নেতা শেক হাবিব উমর বিন হাফিজ উপস্থিত ছিলেন।

মৌলানা কান্থাপুরমের অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, নিহতের এক আত্মীয় হুদেইয়া স্টেট কোর্টের বিচারক এবং ইয়েমেনি সুরা কাউন্সিলেরও সদস্য। ধামারের বৈঠকে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। ফলে সেই আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে নিমিশা প্রিয়াকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি রাখা সম্ভব হয়েছে। মৌলানার অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও দেখা করার কথা ছিল, যাতে কোনোভাবে নিমিশা প্রিয়ার ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়া যায়। বুধবার ফাঁসি পিছিয়ে গেলে ব্লাড মানি জোগাড় করার জন্য কিছুটা সময় পাওয়া যাবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। সূত্রের খবর, এই মর্মেই ইয়েমেন কর্তৃপক্ষ আপাতত কেরলের নার্সের ফাঁসি স্থগিত করেছে।

উল্লেখ্য, নিহতের পরিবার ধামার গোষ্ঠীর অন্তর্গত। এতদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কথা বলার কোনো উপায় ছিল না। এই প্রথম মৌলানার হস্তক্ষেপে নিমিশা প্রিয়ার হয়ে সরাসরি আর্জি জানানো সম্ভব হলো। এই স্থগিতাদেশ নিমিশা প্রিয়ার জীবন বাঁচানোর জন্য নতুন আশা জাগিয়েছে এবং ব্লাড মানি জোগাড়ের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করবে।

নিমিশা প্রিয়ার ভবিষ্যৎ এখন এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপরই নির্ভর করছে।