“দিলীপ ঘোষ দেখিয়ে দিলেন…”-TMC-র কুণাল হঠাত্‍ কেন প্রশংসা কেন করছেন দিলীপের?

রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি হিসেবে শমীক ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণার পরপরই দলের অন্দরে এক নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত মিলেছে। সদ্য প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কার্যত ‘ব্যাকফুটে’ ঠেলে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরে এসেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই প্রেক্ষাপটেই নাম না করে বিজেপির অভ্যন্তরীণ ভাঙনের চিত্র তুলে ধরলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

কুণাল ঘোষের দাবি, “দিলীপ ঘোষকে সুকান্ত-শুভেন্দুরা কোণঠাসা করছিল। যাঁরা দলবদল করে বিজেপিতে এসেছিলেন, তাঁরাই দলকে হাইজ্যাক করছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “এখন শমীক ভট্টাচার্য সভাপতি হয়েছেন। দিলীপবাবু দেখিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদারকে, তুমি আমার কিচ্ছু করতে পারলে না। আমি আবার ফিরে এলাম।” তাঁর মতে, এই পরিস্থিতি প্রমাণ করে যে দলবদলিরা নয়, বরং পুরোনো নেতারাই বিজেপিতে এখনো প্রভাবশালী।

কুণাল ঘোষ বিজেপির বর্তমান পরিস্থিতিকে একটি রাজনৈতিক ‘কমেডি শো’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “এই কমেডি শো-টার সঙ্গে বাংলার রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। মানুষ তৃণমূলের পক্ষেই থাকবেন, বিজেপিকে পরিহার করবেন। তবে বিজেপির এই অবস্থা আমাদের পক্ষে খুবই বিনোদনমূলক।” তাঁর এই মন্তব্য বিজেপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষণকে স্পষ্ট করে তোলে।

রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য রাজনীতির নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যেও দিলীপ ঘোষের সাংগঠনিক প্রভাব এখনও যে যথেষ্ট শক্তিশালী, তা শমীক ভট্টাচার্যের নতুন দায়িত্বে আসার পর আবারও প্রমাণিত হল। শমীকের সভাপতি পদে আগমনকে দিলীপ শিবিরের জয় হিসেবেই দেখছেন অনেকে।

তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের নজর এখন অন্য দিকে। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা নেতৃত্বের এই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে বিজেপি আদতে কতটা শক্ত জমি তৈরি করতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। কুণাল ঘোষ অবশ্য মনে করেন, তৃণমূল এই বিষয়গুলিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না, বরং বিজেপিকে নিজেদের ভাঙনের ভারে ধ্বংসের পথেই এগোতে দেখছে।