TMC-র এক নেতার ছেলের সঙ্গে প্রেম, বিয়ে অন্য নেতাকে, খুনের ঘটনায় নয়া মোড়

মালদার ইংরেজবাজারের লক্ষীপুরে তৃণমূল নেতা আবুল কালাম আজাদকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মাইনুল শেখ সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জমি বিবাদ ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনকেই এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ বলে অনুমান করছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে ইংরেজবাজারের লক্ষীপুরে তৃণমূল নেতা আবুল কালাম আজাদকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। জানা যায়, সেদিন আবুল কালাম তার দ্বিতীয় স্ত্রী শিউলি খাতুনকে নিয়ে এক আত্মীয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সবাই যখন উৎসবে ব্যস্ত, তখনই অভিযুক্ত মাইনুল শেখ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবুল কালাম আজাদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করে। আবুল কালামের স্ত্রী শিউলি খাতুন বাধা দিতে গেলে তিনিও জখম হন। বর্তমানে শিউলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পরপরই ইংরেজবাজার থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং শুক্রবার সকালে মূল অভিযুক্ত মাইনুল শেখকে আটক করে। পরবর্তীতে বিস্তারিত তদন্তের পর শনিবার পুলিশ মাইনুল শেখ, তার ভাই সাইদুল শেখ এবং দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইমারত ও শাহিদ শেখকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, নিহত আবুল কালাম আজাদের দ্বিতীয় স্ত্রী শিউলির সঙ্গে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মাইনুল শেখের ছেলের সম্পর্ক ছিল। মাস দুয়েক আগে শিউলির সঙ্গে আবুল কালামের বিয়ে হয়। এই সম্পর্কের টানাপোড়েনের পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়েও উভয়ের মধ্যে তিক্ততা ছিল। পুলিশ মনে করছে, এই দুটি কারণেই আবুল কালামকে খুন করা হয়েছে।
তবে, সম্পর্কের জটিলতা ও জমি বিবাদের বাইরেও এই খুনের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ধৃতদের আরও জেরা করতে চাইছে পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একই দলের দুই নেতার মধ্যে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে আবারও সামনে এনেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে এবং এই হত্যাকাণ্ডে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।