গগনযান মিশনে ইসরোর ঐতিহাসিক সাফল্য, সার্ভিস মডিউল প্রপালশন সিস্টেমের সফল পরীক্ষা, ২০২৭ লক্ষ্য আরও কাছে

ভারতের মহাকাশে মানুষ পাঠানোর স্বপ্ন ‘গগনযান’ ২০২৭ সালে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে আরও এক বিশাল পদক্ষেপ ফেলল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। দিনরাত এক করে চলা নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি গগনযানের অন্যতম প্রধান একটি মেশিনের কার্যকারিতা এবার পুরোপুরি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এই সাফল্য ইসরোর মুকুটে নতুন পালক যোগ করল এবং ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্থাপন করল।
গগনযানের ‘হৃদপিণ্ডের’ সফল পরীক্ষা
ইসরোর বিজ্ঞানীরা গগনযান সার্ভিস মডিউল প্রপালশন সিস্টেম (Service Module Propulsion System) নামের এই অত্যাধুনিক যন্ত্রটির বারবার পরীক্ষা চালিয়েছেন। এটি গগনযান মিশনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা মহাকাশে পৌঁছে কক্ষপথে যানটিকে নিয়ন্ত্রণ, গতি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রয়োজনীয় কক্ষপথ পরিভ্রমণের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। যন্ত্রটির নির্ভুল কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে একটি পূর্ণাঙ্গ সময়ের ‘হট টেস্ট’ (Hot Test) পরিচালনা করা হয়।
এই কঠিন পরীক্ষায় ইসরো সম্পূর্ণ সাফল্য লাভ করেছে, যার সহজ অর্থ হলো এই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রটি নিখুঁতভাবে কাজ করছে। এটি গগনযানকে সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ এবং নভোচারীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এক বিশাল অগ্রগতির ইঙ্গিত দেয়।
মহাকাশ গবেষণায় ভারতের নতুন দিগন্ত
এই সফল পরীক্ষার পর ২০২৭ সালে গগনযান মিশনকে সফলভাবে রূপ দেওয়া এখন ইসরোর অনেকটাই হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এই মিশনের সফলতার মধ্য দিয়ে ভারত মহাকাশে মানুষ পাঠানোর সক্ষমতা বিশ্বের দরবারে প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর। এটি সফল হলে ভারত মহাকাশ বিজ্ঞানে বিশ্বের অন্যতম সেরা শক্তিধর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
ইসরোর বিজ্ঞানীরা নিরলস পরিশ্রমে এই ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছেন। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের আত্মনির্ভরতার এটি এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। গগনযানের এই সাফল্য শুধু ইসরোর স্বপ্নই নয়, সমগ্র ভারতের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত।