রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) পরিশোধের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ৬ সপ্তাহের সময়সীমা শেষের মুখে। আগামী ২৭শে জুন, অর্থাৎ আর মাত্র দু’দিন পরই সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বকেয়া ডিএ মেটানোর বিষয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি, যা সরকারি কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ও জল্পনা বাড়িয়ে তুলেছে। নবান্নের অন্দরে এখন এটাই সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
বিজ্ঞপ্তি জারির অপেক্ষা, নাকি নতুন মোড়?
বকেয়া ডিএ নিয়ে নবান্নে জোর জল্পনা চলছে। অনেকেই মনে করছেন, রাজ্য সরকার একেবারে শেষ মুহূর্তে ডিএ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে। ২৬শে জুন, অর্থাৎ আগামীকাল, এই বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন। আবার একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ২৭শে জুন, রথযাত্রার ছুটির দিনও বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র মারফত খবর, বিজ্ঞপ্তির খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করতে রাজ্য সরকার এখন আইনি পরামর্শ নিচ্ছে। সরকারি কর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, কবে সেই বহু প্রতীক্ষিত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। তবে, আরেকটি সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা চলছে: রাজ্য সরকার হয়তো ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে কিছুটা অতিরিক্ত সময় চাইতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হওয়ার ঝুঁকিও থাকছে।
প্রস্তুত সরকারি কর্মীরা, আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি:
এদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীরাও নিজেদের প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিএ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি না হয়, তাহলে ২৮শে জুনই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবকে ই-মেল করে নোটিস পাঠানো হবে।
মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “খাতায়কলমে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দু’দিন বাকি আছে মাত্র। শুক্রবার পর্যন্ত বকেয়া ডিএ মেটানোর সময় আছে। যদিও সেদিন রথের কারণে সরকারি ছুটি থাকবে, তবুও সেদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটানো না হলে, রাজ্যের অর্থসচিব এবং মুখ্যসচিবের নামে নোটিশ করা হবে। সেই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকদিনের সময় দেওয়া হবে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে দায়ের করা হবে আদালত অবমাননার মামলা।”
এমনিতেই ডিএ ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকার এবং সরকারি কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন চলছে। সুপ্রিম কোর্টের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
