
নবদ্বীপে নার্সিং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি ভাড়া দেওয়ার লেনদেনে সব্যসাচী নৃশংসতা—এক রাঁধুনিকে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ। অভিযুক্তের নাম নান্টু দেবনাথ, যিনি ওই নার্সিং মেসে রান্নার কাজ করতেন।
ঘটনা কমিশনের মতো গত সোমবার দিবাগত রাতে। নবদ্বীপের সরকারবাড়ি এলাকায় বেসরকারি একটি নার্সিং কলেজের ছাত্রদের জন্য বাড়ি ভাড়া দেন নেপাল দেবনাথ (বৃদ্ধ)। এসব নিয়ে যখন নেপালের সঙ্গে তর্কবিতণ্ডা শুরু হয় নান্টুর, তখন আচমকা লাঠি হাতে নিয়ে হামলা করেন তৎকালীন কাণ্ডারী। অভিযোগ, চলে নির্দয় বর্বর প্রহর—অবশেষে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নেপাল দেবনাথ।
স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন থেকেই পলাতক ছিলেন নান্টু। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করে বুধবার নবদ্বীপ আদালতে হাজির করেছে।
পুলিশি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নান্টু বলেছে, বাড়িভাড়া নিয়ে মামলার কারণে উত্তেজনা হয়েছিল। তবে শত্রুতা কোনও পুরনো দ্বন্দ্বের ফল কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বিস্তারিত সত্য উদঘাটনে পুলিশ ঘটনার ঘটনার উৎস ও নেপালের সঙ্গে নান্টুর দ্বন্দ্বের প্রকৃতি খতিয়ে দেখছে।
এদিকে প্রতিবেশী ও স্থানীয় সূত্রে উদ্বেগ প্রকাশ, “যৌক্তিক আলোচনায় সমাধান ছিল, কিন্তু লাঠির আঘাতে হদিশ হারালেন বৃদ্ধ!”—এ ঘটনায় নিরাপত্তা ও সামাজিক সম্প্রীতির প্রশ্নও উঠেছে। পুলিশের রিমান্ড শেষে নান্টুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।