জুলাই মাস থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে গেলে বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে এনপিসিআই (NPCI) ভেরিফিকেশন। এই নতুন নির্দেশনা জারি করেছে রাজ্য সরকার। যদি জুন মাসের মধ্যে এই যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হয়, তাহলে উপভোক্তারা জুলাই থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন না।

কেন এই ভেরিফিকেশন জরুরি?
এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য স্কিমে স্বচ্ছতা আনা এবং প্রকৃত উপকারভোগীদের সুবিধা নিশ্চিত করা। আধার নম্বর এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সঠিকভাবে NPCI প্ল্যাটফর্মে লিঙ্ক করা না থাকলে টাকা পাঠানো সম্ভব হবে না। রাজ্যের সমস্ত দফতরকে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সতর্ক করেছে নবান্ন।

NPCI ভেরিফিকেশন মানে কী?
এনপিসিআই ভেরিফিকেশন মানে হল – আপনার আধার নম্বরটি সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত কিনা যা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে। কারণ, টাকা NPCI-এর মাধ্যমে সরাসরি সেই অ্যাকাউন্টেই জমা হয়। আধার লিঙ্ক না থাকলে, ট্রান্সফার ব্যর্থ হবে।

কে পাবেন এই প্রকল্পের সুবিধা?
বয়স: ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে

মাসিক আয় নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকতে হবে

আবেদনকারী যেন সরকারি চাকরি বা পেনশনপ্রাপ্ত না হন

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

আধার কার্ড

ব্যাংক পাসবুক

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড

জাতিগত/বাসিন্দা প্রমাণপত্র

আপনাকে কী করতে হবে?
এনপিসিআই ভেরিফিকেশন মূলত সরকারের তরফে করা হচ্ছে, তবে যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আধার এখনও যুক্ত হয়নি, তাদের তৎপর হয়ে লিঙ্ক করাতে হবে।

👉 এক্ষুনি যাচাই করুন – আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আধার নম্বর লিঙ্ক হয়েছে কিনা। প্রয়োজনে আপনার নিকটবর্তী ব্যাংকে গিয়ে আধার-লিঙ্কিং সম্পূর্ণ করুন।

এই নিয়ম মেনে চললেই কী সুবিধা মিলবে?
হ্যাঁ, নিয়ম মেনে চললে—

সময়মতো আর্থিক সহায়তা পাবেন

কোনও রকম ভোগান্তি বা বিলম্ব হবে না

টাকা ভুল অ্যাকাউন্টে যাওয়ার ঝুঁকি কমবে

প্রকল্পের স্বচ্ছতা বজায় থাকবে

📢 সতর্কবার্তা:
যারা এখনও এই ভেরিফিকেশন নিয়ে উদাসীন, তাঁদের এখনই সচেতন হওয়া উচিত। জুন মাসের মধ্যেই যাচাই না করলে জুলাই থেকে টাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

(বিঃ দ্রঃ – এই প্রতিবেদনটি সরকারি নির্দেশিকা ও প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে তৈরি। প্রকল্প সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য স্থানীয় ব্লক অফিস বা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।)