আট মাস পর সত্যের জয়? সুপারি পাচার চক্রের পাণ্ডা ধৃত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানায় সুকান্ত মজুমদার!

আট মাস আগে করা ভবিষ্যদ্বাণী যেন হাতে নাতে মিলিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার! উত্তর ২৪ পরগনার এক সুপারি পাচার চক্রের অন্যতম পাণ্ডা ধীরজ ঘোষের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে ফের নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এই গ্রেফতারির পরই রাজ্যের শাসকদল, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানায় নিলেন বালুরঘাটের সাংসদ।

পুলিশের জালে সুপারি পাচার চক্রের অন্যতম মূল অভিযুক্ত ধীরজ ঘোষের ধরা পড়ার পর সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, আট মাস আগেই তিনি এই চক্রের পর্দা ফাঁস করেছিলেন এবং তৎকালীন সময়ে রাজ্য প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবহিত করেছিলেন।

একইসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি কটাক্ষ করে বলেছেন, “আট মাস আগে আমি অভিযোগ করেছিলাম, সুপারি পাচার চক্র চলছে। কারা করছে? ধীরজ ঘোষ, যার নাম আমি ৮ মাস আগে বলেছিলাম, পুলিশ তাকে ধরেছে। মুখ্যমন্ত্রী এখন বলুন এই ধীরজ ঘোষ কে? এতদিন কেন ধরা পড়ল না? এদের পেছনে কারা ছিল? তৃণমূলের বড় বড় নেতারা যুক্ত ছিলেন না? এই পাচারের টাকায় কারা ভাগ নিত?”

সুকান্ত মজুমদারের এই প্রশ্নগুলো সরাসরি রাজ্যের শাসনব্যবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করছে। তার মতে, সুপারি পাচারের মতো অবৈধ কার্যকলাপের পেছনে রাজনৈতিক মদত রয়েছে, এবং ধীরজ ঘোষের গ্রেফতারি সেই অভিযোগেরই সত্যতা প্রমাণ করছে।

ধীরজ ঘোষের গ্রেফতারি কেবল একটি পাচার চক্রের পর্দাফাঁসই নয়, বরং রাজ্য জুড়ে চলা বিভিন্ন অবৈধ কারবারের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগসাজশের অভিযোগকে আরও জোরালো করল। বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে এবং শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন অভিযোগের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এই গ্রেফতারি এবং সুকান্তর বিস্ফোরক মন্তব্যের পর সুপারি পাচার চক্রের তদন্ত কোন দিকে এগোয় এবং রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে এর কী প্রভাব পড়ে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy