
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল নেতা জন বার্লার বানারহাটের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে হঠাৎ করেই তাঁর পুরনো বাসভবনে আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও দমকল পৌঁছনোর আগেই স্থানীয় বাসিন্দা ও চা বাগানের কর্মীদের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, যার ফলে বড়সড় বিপদ এবং হতাহতের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
শনিবার দুপুরে জন বার্লার লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মুহূর্তেই দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে বাড়িটির একটি অংশ। আগুন লাগার সময় বাড়ির নিচতলায় ছোট বাচ্চারা খেলছিল, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তোলে।
খবর পেয়ে বীরপাড়া দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে, দমকলকর্মীরা পৌঁছনোর আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা এবং চা বাগানের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বালতি করে জল, বালি দিয়ে প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। এরপর বাগানের জলের ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে জল দেওয়া শুরু হয়, যার ফলে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাকি আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলে।
জন বার্লার প্রতিক্রিয়া:
অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে জন বার্লা সংবাদমাধ্যমকে জানান, “শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। ক্ষতি হয়ে গেল। এই ঘরটিতে একটা সময় আমি থাকতাম। অনেক স্মৃতি ছিল এর সঙ্গে। বাগানের ছেলেরা খুব দ্রুত এগিয়ে এসেছে। বাগান থেকে ট্যাঙ্ক নিয়ে এসে জল দেওয়া হয়েছে, যার জন্য আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।”
বড় বিপদ থেকে রক্ষা:
জন বার্লার বাড়ির পাশেই বেশ কিছু ঘরবাড়ি রয়েছে। সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারত এবং আরও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারত। স্থানীয়দের দ্রুত পদক্ষেপ এবং সাহসিকতার কারণেই একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।
জানা গেছে, যে ঘরটিতে আগুন লেগেছে সেটি জন বার্লার পুরনো বাসভবন। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না, সকালে বাইরে বেরিয়েছিলেন। তিনি বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।