ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে কারাবন্দী বাংলাদেশের বিতর্কিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল অবশেষে আদালতের নির্দেশে অভিযোগকারীনি কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করলেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আখতার এই নির্দেশ দেন, যার পর কারাগারেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
অভিযোগের সূত্রপাত ও নোবেলের গ্রেফতার
কয়েক মাস আগে এক কলেজ ছাত্রী নোবেলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছর নভেম্বর মাসে নোবেল তাকে স্টুডিও দেখানোর নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। এরপর প্রায় সাত মাস ধরে ওই ছাত্রীকে বাড়িতে আটকে রেখেছিলেন নোবেল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি নোবেলকে গ্রেফতার করা হয় এবং ২০শে মে থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আদালতের নির্দেশ ও বিবাহ
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি চলাকালীন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আখতার অভিযোগকারীনিকে বিয়ে করার নির্দেশ দেন নোবেলকে। গায়কের আইনজীবী জসিমউদ্দিন জানান, আদালতে অভিযোগকারীনি উপস্থিত ছিলেন এবং নোবেলের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে বিয়ে করার অনুমতি চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের সম্মতিতে এই বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, নোবেল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই নির্যাতিতাকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করে আসছিলেন, তবে তখন কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে সোশ্যাল মিডিয়াতে ওই মহিলার সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয়েছিল, যখন তিনি ঢাকার কলেজে পড়তেন।
বিতর্কিত অতীত
নোবেলের বিরুদ্ধে বিতর্কে জড়ানো এটিই প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও তিনি নানা কারণে সমালোচিত হয়েছেন। তবে, ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও ছড়ানোর হুমকির মতো গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার ও পরবর্তীতে অভিযোগকারীকে বিয়ে করার এই ঘটনা বাংলাদেশের শোবিজ ও বিচার ব্যবস্থায় নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ১৯শে মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
