
গ্রীষ্মের দাবদাহে কাঁচা আমের আচারের সুবাসে ম’ ম’ করছিল পাড়া-প্রতিবেশী। অনেকের হেঁশেলে ইতিমধ্যেই সারা বছরের জন্য ঠাঁই পেয়েছে সেই টক-ঝাল অমৃত। কিন্তু যারা এই আয়োজন থেকে বঞ্চিত, তাদের কপালে কি চিন্তার ভাঁজ? মোটেও না! কারণ, এবার সহজ কৌশলে যে আচার তৈরি হবে, তা শুধু জিভে জল আনবে না, বরং বর্ষা-শীতল দিনে রুটি-পরোটার সঙ্গী হয়ে মাতিয়ে দেবে আপনার রসনা। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে সেই মন মাতানো লঙ্কার আচারের! যারা ঝাল ভালোবাসেন, তাদের জন্য তো এটি এক স্বপ্নপূরণ!
ভাবছেন, লঙ্কার আচার? সে কি খুব কঠিন? একদমই না! অত্যন্ত সাধারণ উপকরণ আর সামান্য কিছু ধাপে তৈরি হয়ে যায় এই সুস্বাদু আচার, যা একবার বানিয়ে রাখলে বছরভর আপনার হেঁশেল থাকবে সুবাসিত।
উপকরণে যা লাগবে:
আপনার কিচেন ক্যাবিনেটে উঁকি দিলেই পেয়ে যাবেন এই সহজলভ্য উপাদানগুলো:
তাজা কাঁচা লঙ্কা
রসুনের কোয়া
ভিনিগার
চিনি
লবণ
এবং সামান্য গোটা সাদা জিরে
তৈরির জাদুকাঠির ছোঁয়া:
প্রথমে লঙ্কাগুলোকে ভালো করে গরম জলে ধুয়ে নিন, যাতে কোনো জীবাণু না থাকে। এরপর সাবধানে ছোট ছোট করে কুচি করে কেটে নিন। এবার একটি পরিষ্কার পাত্রে রসুন, সাদা জিরে, লবণ, ভিনিগার এবং চিনি দিয়ে ভালো করে জ্বাল দিতে শুরু করুন। মিশ্রণটি ধীরে ধীরে ঘন হয়ে আসবে, একটা আঠালো ভাব এলে বুঝবেন এটি প্রস্তুত।
এরপর এই ঘন মিশ্রণের মধ্যে কুচি করে রাখা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিন। এবার হালকা আঁচে ধীরে ধীরে ফোটাতে থাকুন। দেখবেন, লঙ্কার রং ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে – এটিই জাদুর মুহূর্ত! যখন লঙ্কাগুলোর রঙে পরিবর্তন আসবে, তখন একটু চেখে দেখুন – টক, ঝাল, মিষ্টি সব স্বাদ ঠিকঠাক মিশেছে কিনা। প্রয়োজনে সামান্য লবণ বা চিনি যোগ করতে পারেন।
ব্যস! তৈরি হয়ে গেল আপনার সুস্বাদু লঙ্কার আচার। এবার এটিকে একটি পরিষ্কার কাঁচের বোয়ামে ভরে রাখুন। আশ্চর্য হবেন না, এই আচার আপনি সারা বছর মজুত রাখতে পারবেন। শুধু খেয়াল রাখবেন, মাঝে মাঝে সূর্যের আলোয় কিছুক্ষণের জন্য রোদে দেবেন, এতে আচারের গুণগত মান অক্ষুণ্ণ থাকবে।
ভাত, রুটি, লুচি, পরোটা – কি নেই এই আচারের জাদুতে? সব কিছুর সঙ্গেই এর স্বাদ এক আলাদা মাত্রা যোগ করবে। তাই আর দেরি না করে, আজই নেমে পড়ুন লঙ্কার আচার তৈরির এই মজাদার প্রক্রিয়ায়। দেখবেন, আপনার হেঁশেলে এক নতুন স্বাদের বিস্ফোরণ ঘটবে!