
বুধবার ভোরের আলো ফোটার আগেই অন্ধ্রপ্রদেশের মারেদুমিল্লির গহীন অরণ্য রণক্ষেত্রে পরিণত হলো। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষে খতম হলো তিন মাওবাদী, যার মধ্যে ছিলেন সংগঠনের এক শীর্ষ নেতা। এই সফল অভিযানে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর আরও এক গুরুত্বপূর্ণ জয় সূচিত হলো।
জানা গেছে, নিহত মাওবাদীরা শুধু সাধারণ সদস্যই ছিল না, বরং অন্ধ্র-ওড়িশা সীমান্তে তাদের সক্রিয় উপস্থিতি ছিল এবং তারা জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় স্থান পেয়েছিল। এই দুই শীর্ষ নেতার মৃত্যু মাওবাদী নেটওয়ার্কের জন্য এক বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। সংঘর্ষস্থল থেকে তিনটি অত্যাধুনিক একে-৪৭ রাইফেল সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যা মাওবাদীদের শক্তিশালী উপস্থিতিরই প্রমাণ।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে মাওবাদীদের উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য আসে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অভিজাত গ্রেহাউন্ডস ইউনিট দ্রুত অভিযান শুরু করে। গভীর রাতে শুরু হওয়া এই অভিযান তীব্র গোলাগুলিতে পরিণত হয়, যার ফলস্বরূপ মাওবাদীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।”
এই এনকাউন্টার আবারও প্রমাণ করল যে, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় ভারতীয় বাহিনী কতটা তৎপর এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। জঙ্গলের গভীরে লুকিয়ে থাকা এই বিপদ মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনীর নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং আত্মত্যাগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এই ঘটনার পর এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং মাওবাদীদের অবশিষ্ট নেটওয়ার্কের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে।