
কোচি থেকে রাজধানী দিল্লিগামী ইন্ডিগো বিমানে বোমাতঙ্কে মঙ্গলবার সকালে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল। নির্দিষ্ট ফ্লাইট নম্বর উল্লেখ করে বোমা রাখার হুমকির পরেই বিমানটিকে নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করাতে হয়। আকস্মিক এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে কোচি বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিগোর ওই বিমানটি দিল্লির উদ্দেশে উড়েছিল। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিট নাগাদ বিমানটির দিল্লি পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু মাঝপথেই হুমকি মেলের কারণে আর কোনো ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটিকে ঘুরিয়ে নাগপুর বিমানবন্দরে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানে থাকা সমস্ত যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোচি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে একটি নির্দিষ্ট ফ্লাইট নম্বর উল্লেখ করে বোমা হামলার হুমকি আসে। প্রোটোকল অনুযায়ী, সঙ্গে সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তকারীদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, হুমকিটি ছিল যথেষ্ট স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট।
ততক্ষণে বিমানটি কোচি ছেড়ে দিল্লির পথে রওনা হয়ে গেছে। সেই অবস্থায় নিরাপত্তা নিয়ে বিন্দুমাত্র ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটিকে নাগপুরে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নাগপুর বিমানবন্দরে নামার পরেই নিবিড় তল্লাশি চালানো হয় বিমানটিতে। বিমানবন্দরের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার পর থেকে আকাশপথে নিরাপত্তা নিয়ে বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি বাড়তি সতর্ক রয়েছে। এমন আবহে এই ধরনের বোমা হামলার হুমকিকে কোনোভাবেই হালকাভাবে নেয়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই হুমকি আসার পরপরই বৈঠকে বসে দ্রুত বিমানটিকে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই ঘটনা আবারও আকাশপথে নিরাপত্তার গুরুত্বকে সামনে আনল। আতঙ্কিত যাত্রীরা নিরাপদে থাকলেও, প্রশ্ন উঠছে হুমকিদাতা বা তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে।