“সবাই দ্রুত তেহরান ছাড়ুন”, বার্তা দিয়েই তড়িঘড়ি G7 ছাড়ছেন ট্রাম্প, মধ্যপ্রাচ্যে হচ্ছে টা কি?

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলা তীব্র মিসাইল হামলায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর মিলেছে, যা আঞ্চলিক উত্তেজনাকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া একটি বার্তা নতুন করে জল্পনার জন্ম দিয়েছে। তিনি যত দ্রুত সম্ভব তেহরান খালি করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং একই সঙ্গে আবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ইরান কোনোভাবেই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না।

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে ট্রাম্প সরাসরি ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে সকলকে সরে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ইরানের চুক্তিতে স্বাক্ষর করা উচিত ছিল। যা ঘটছে, তা লজ্জার। মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। আমি শুধু বলব, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারে না। আমি এটা বারবার বলছি। সবাই দ্রুত তেহরান ছাড়ুন।” হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, তেহরান ছাড়ার এই বার্তা দিয়ে আদতে ট্রাম্প ইরানকে কূটনৈতিক পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের দফতরে একটি এয়ারস্ট্রাইক হয়।

ট্রাম্পের এই চাঞ্চল্যকর বিবৃতির পরই খবর পাওয়া গেছে যে তিনি কানাডায় আয়োজিত G7 সম্মেলন ছেড়ে দ্রুত বেরিয়ে যাবেন। এই সম্মেলনে G7-এর অধীনস্থ সব দেশের রাষ্ট্রনেতারা উপস্থিত আছেন, যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও পৌঁছেছেন। সূত্রের খবর, ট্রাম্প বলেছেন, “বিশেষ কারণে আমাকে দ্রুত ফিরতে হবে।” শুধু তাই নয়, ওয়াশিংটনে ফিরেই তিনি আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলেও জানিয়েছেন।

ট্রাম্প এর আগেও বারবার বলেছেন যে ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে না। তবে এবার তেহরান থেকে সরে যাওয়ার যে সরাসরি বার্তা তিনি দিয়েছেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তেহরানের উপর কোনো বড় হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে? মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, এবং আগামী দিনগুলোতে কী ঘটে, সেদিকেই নজর রাখছে বিশ্ব।