
ভারত সরকার ২০২৬ এবং ২০২৭ সালে দুই দফায় দেশব্যাপী জনগণনা (Census) পরিচালনার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এই প্রথম দফায় লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে এবং দ্বিতীয় দফায় দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে জনগণনা পরিচালিত হবে। এই প্রক্রিয়ায় দেশের প্রতিটি নাগরিকের পারিবারিক ও আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
কেন্দ্র সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে:
প্রথম দফায় (হাউসলিস্টিং অপারেশন): ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে জনগণনা শুরু হবে। এই ধাপে মূলত পারিবারিক আয়, সম্পদের পরিমাণ, আবাসন বা বাড়ির পরিস্থিতি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই প্রক্রিয়াকে ‘হাউসলিস্টিং অপারেশন’ বলা হয়।
দ্বিতীয় দফায় (পপুলেশন এনুমেরেশন): ২০২৭ সালের ১ মার্চ মধ্যরাত থেকে দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে জনগণনা শুরু হবে। এই ধাপে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের আর্থ-সামাজিক সহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যেমন – নাম, বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, ধর্ম, ভাষা, বিবাহিত অবস্থা ইত্যাদি। এই ধাপটিকে ‘পপুলেশন এনুমেরেশন’ বলা হয়।
জনগণনা একটি দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং জনসংখ্যার বিভিন্ন প্রবণতা বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। সংগৃহীত তথ্য সরকারের নীতি নির্ধারণ, উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। এই দুই-দফার জনগণনা প্রক্রিয়ায় দেশের প্রতিটি প্রান্তে সঠিকভাবে তথ্য সংগ্রহের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে, যাতে একটি নির্ভুল এবং বিস্তারিত চিত্র পাওয়া যায়।