OMG! স্ত্রীকে খুন করে কম্বলে দেহ মুড়ে পলাতক স্বামী? অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন মূল ‘নাটের গুরু’

মদ্যপানের অভ্যাসকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহ শেষ পর্যন্ত ভয়াবহ পরিণতি পেল বারাসতে। স্ত্রীর সঙ্গে লাগাতার ঝগড়ার জেরে তাঁকে খুন করে কম্বল চাপা দিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে বারাসতের অশ্বিনীপল্লি মানিকনগর এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার কম্বল মোড়ানো পচাগলা মৃতদেহ। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামী বিজু সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাসখানেক আগে বিজু সাহা এবং তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী মাহাতো ওই এলাকায় রঞ্জিত বড়ালের বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, পেশায় বাসচালক বিজু সাহা প্রায়শই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করতেন। এই সাংসারিক কলহ এতটাই চরমে পৌঁছায় যে, অন্যান্য ভাড়াটেরা বিরক্ত হয়ে বাড়ির মালিক রঞ্জিত বড়ালের কাছে অভিযোগ জানান। এর জেরেই বাড়ির মালিক সাহা দম্পতিকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

রবিবার সন্ধ্যায় বিজুদের ভাড়া ঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করলে অন্যান্য ভাড়াটেরা আবারও বাড়ির মালিককে খবর দেন। রঞ্জিত বড়াল রাতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বারাসত থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং এক মহিলার পচাগলা দেহ কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করে। এই ঘটনাকে ঘিরে মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

বাড়ির মালিক রঞ্জিত বড়াল দাবি করেছেন, তিনি ঘর ভাড়া দেওয়ার সময় বিজুর কাছে পরিচয়পত্র চেয়েছিলেন, কিন্তু বিজু তা পরে জমা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। ঘটনার পর থেকেই বিজু সাহা নিখোঁজ ছিলেন। তবে, সোমবার ভোরে বারাসতের চাঁপাডালি এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মদ্যপান ও সাংসারিক অশান্তির জেরেই বিজু তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর আসল কারণ এবং খুনের পদ্ধতি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এলাকার বাসিন্দাদের মতে, মৃতদেহ এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে, চেনা প্রায় অসম্ভব ছিল। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।