
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীর শিরচ্ছেদ করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী। এক চরম নৃশংসতার সাক্ষী থাকল বেঙ্গালুরুর হিলালিগে গ্রাম, যেখানে ২৬ বছর বয়সী শঙ্কর তার স্ত্রী মনসাকে কাস্তে দিয়ে হত্যা করে মাথা স্কুটারে করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
কী ঘটেছিল সেদিন?
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, শঙ্কর তার স্ত্রী মনসার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতেন। গত পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনে তাদের একটি চার বছর বয়সী কন্যাসন্তান রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ত্রী মনসা তাদের সম্পর্ক মেরামতের জন্য বাড়িতে ফিরেছিলেন। কিন্তু সেদিনই দুজনের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় শঙ্কর পূর্বপরিকল্পিতভাবে একটি কাস্তে ব্যবহার করে মনসার শিরচ্ছেদ করে।
এই নৃশংস ঘটনার পর শঙ্কর তার স্ত্রীর দেহ ঘরে রেখেই কাটা মাথা স্কুটারে করে হিলালিগে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। এই ঘটনায় শুধু পুলিশ নয়, গোটা গ্রাম স্তম্ভিত।
পুলিশের তদন্ত ও অন্যান্য তথ্য
পুলিশ জানিয়েছে, এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। শঙ্কর নিজেই এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কাস্তে কিনে এনেছিল, যা পূর্বপরিকল্পনার প্রমাণ।
জানা গেছে, শঙ্কর করামাঙ্গলায় এবং মনসা বোম্মাসান্দ্রায় দুটি ভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। পুলিশ বর্তমানে ঘটনার কারণ, প্রমাণ এবং অভিযুক্তের মানসিক অবস্থা খতিয়ে দেখছে। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরও কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এই বর্বরোচিত ঘটনা বেঙ্গালুরু এবং তার আশেপাশের এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।