
সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ সারলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবার দুপুরেই তাঁর বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় জোর গুঞ্জন। জানা গেছে, জার্মানির বার্লিনে খুব চুপিসারেই চার হাত এক হয়েছে তাঁদের। পাত্র হলেন ওড়িশার পুরীর প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্র।
বিয়ের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মহুয়া মৈত্র নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (আগের টুইটার) লেখেন, “ভালবাসা এবং শুভকামনার জন্য সকলকে ধন্যবাদ!! অনেক কৃতজ্ঞ।” এই পোস্টের সঙ্গেই তিনি বিয়ের ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে নবদম্পতিকে হাস্যোজ্জ্বল মুখে দেখা যাচ্ছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, মহুয়া মৈত্র প্রায় চুপি চুপিই এই বিবাহ সেরেছেন। দলের এই বিষয়ে কোনো পূর্ব-ধারণা ছিল না। তৃণমূলের একজন শীর্ষ নেতা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন, যা রাজনৈতিক মহলে কিছুটা বিস্ময় তৈরি করেছে। মহুয়ার মতো একজন পরিচিত এবং প্রভাবশালী সাংসদের বিয়ে এত গোপনে হওয়ার বিষয়টিই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
৬৯ ও ৫১: দুই অভিজ্ঞ রাজনীতিকের দ্বিতীয় ইনিংস
৬৫ বছর বয়সী পিনাকী মিশ্র এবং ৫১ বছর বয়সী মহুয়া মৈত্র, দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিবাহ। পিনাকী মিশ্র পেশায় একজন আইনজীবী এবং তিনি বিজু জনতা দলের (BJD) প্রাক্তন সাংসদ। ১৯৯৬ সালে প্রথম কংগ্রেসের টিকিটে পুরী থেকে লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজু জনতা দলে যোগ দেন এবং বিজেডি-র টিকিটে লড়ে ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে পুরী থেকে পরপর তিনবার জয়ী হন। যদিও গত লোকসভা ভোটে তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেডি।
রাজনৈতিক গুঞ্জন রয়েছে যে, মহুয়ার সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই বিতর্ক এড়াতে পিনাকীকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেনি বিজু জনতা দল। পিনাকী মিশ্র তাঁর প্রথম স্ত্রী সঙ্গীতা মিশ্রর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগেই বিবাহবিচ্ছেদ করেছেন। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
অন্যদিকে, মহুয়া মৈত্র এর আগে ডেনিশ ফিনান্সার লার্স ব্রর্সনকে বিয়ে করেছিলেন। পরে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর জানা যায়, মহুয়া তিন বছর ধরে অ্যাডভোকেট জয় অনন্ত দেহাদ্রাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন, যদিও সেই সম্পর্কও ভেঙে যায়।
দুই অভিজ্ঞ রাজনীতিকের এই নতুন জীবন তাঁদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনে কী প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপচে পড়ছে কমেন্ট বক্স।