বিকাশ ভবন কাণ্ড! পুলিশের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা, থানায় হাজিরা দিলেন না একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক

বিকাশ ভবনে শিক্ষক বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্রের ঘটনার জেরে পুলিশি নোটিস উপেক্ষা করে থানায় হাজিরা দিলেন না তিন চাকরিহারা শিক্ষক। পুলিশি হুঁশিয়ারি ছিল, তলব এড়িয়ে গেলে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হতে পারে। তবে শিক্ষকদের দাবি, আইনি পরামর্শ নিয়েই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এবার সব আইনি পথেই হবে।
সম্প্রতি বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকদের বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। বৃহস্পতিবার থেকে অবস্থানে বসা শিক্ষকদের একাংশের উপর সেই রাতেই পুলিশি লাঠিচার্জ হয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের তীব্র খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়, যার জেরে বিকাশ ভবনের গেট পর্যন্ত ভেঙে যায়। এই ঘটনায় বেশ কিছু শিক্ষক ও পুলিশ কর্মী আহত হন।
এই ঘটনার পরই পুলিশ সক্রিয় হয়। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা, হুমকি, এবং কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের মারধর-সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগে চাকরিহারা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় জামিন অযোগ্য ধারাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিধাননগর উত্তর থানায় শিক্ষকদের হাজিরার নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছিল, তলব এড়িয়ে গেলে তাঁদের গ্রেফতার করা হতে পারে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর নির্দিষ্ট ধারায় এই গ্রেফতারি হবে। জামিন অযোগ্য ধারা সহ চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে মোট ১৫টি ধারায় মামলা রুজু করেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।
তবে পুলিশি হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তিন চাকরিহারা শিক্ষক নির্দিষ্ট দিনে থানায় হাজিরা দেননি। এই বিষয়ে চাকরিহারাদের পক্ষে সঙ্গীতা সাহা সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমরা আইনি পরামর্শ নিয়েছি। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” তাঁদের এই অনড় অবস্থান স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তাঁরা এখন আইনি পথেই এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বদ্ধপরিকর।
বিকাশ ভবন কাণ্ড এবং পরবর্তী পুলিশি পদক্ষেপের পর চাকরিহারা শিক্ষকদের এই আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এখন দেখার বিষয়, পুলিশ এই অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয় এবং এই ঘটনার পরিণতি কোন দিকে মোড় নেয়।