কাশ্মীরে শুরু তুমুল অ্যাকশন! দুই জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল সেনাবাহিনী, এবার টার্গেট সরাসরি পাকিস্তান?

পহেলগামের বৈসরণ ভ্যালিতে ঘটে যাওয়া নজিরবিহীন পর্যটক হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি গোষ্ঠীর তিন সদস্যের মধ্যে দু’জনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল নিরাপত্তা বাহিনী। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ কাশ্মীর জুড়ে চালানো হয় এই বিশেষ অভিযান।

ধ্বংস হওয়া বাড়ি দুটির মধ্যে একটি হলো পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরার অন্তর্গত ত্রাল এলাকার মোংহামার বাসিন্দা আসিফ ফৌজি ওরফে আসিফ শেখের। মনে করা হচ্ছে, এই বাড়িটি থেকেই পহেলগামে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অভিযান চলাকালীন বিস্ফোরণের মাধ্যমে বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় বাড়িটি হলো অনন্তনাগ জেলার বিজবেহারার গুড়ির বাসিন্দা লস্কর জঙ্গি আদিল হুসেন ঠোকারের। পহেলগামে ২৬ জন পর্যটককে হত্যার ঘটনায় আদিলের জড়িত থাকার জোরালো সন্দেহ রয়েছে।

এদিকে, পহেলগামের ভয়াবহ হামলায় জড়িত জঙ্গিদের চিহ্নিত করতে ইতিমধ্যে তাদের স্কেচ প্রকাশ করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া বর্ণনার ভিত্তিতে এই স্কেচগুলো তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্র অনুযায়ী, স্কেচে থাকা ব্যক্তিরা হলো আসিফ ফৌজি ওরফে আসিফ শেখ, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা। এদের সাংকেতিক নাম যথাক্রমে মুসা, ইউনুস এবং আসিফ। শুধুমাত্র পহেলগাম নয়, পুঞ্চ এলাকায় ঘটে যাওয়া একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেও এদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে নিরাপত্তা বাহিনী।

সূত্রের খবর, জঙ্গি আদিল হুসেন ঠোকার ২০১৮ সালে বৈধ পথে পাকিস্তানে গিয়েছিল এবং সেখানেই সে সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ লাভ করে। এই হামলায় লস্কর-ই-তইবার সহযোগী সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। গত ২২ এপ্রিল পহেলগামের বৈসরণ ভ্যালিতে টিআরএফ সন্দেহভাজন জঙ্গিরাই পর্যটকদের উপর অতর্কিতে গুলি চালিয়েছিল।

নিরাপত্তা বাহিনীর এই পদক্ষেপ জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং ভবিষ্যতের নাশকতা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অভিযানে বাড়িগুলো ধ্বংস করা হলেও সেখান থেকে কোনও জঙ্গিকে পাকড়াও করা গেছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।