“ধর্ম জেনেই মারা হয়েছে, পাতালে লুকিয়েও রেহাই পাবে না জঙ্গিরা”-মন্তব্য ভারতের প্রাক্তন মেজরের

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে গত ২২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা প্রাক্তন মেজর ঋত্বিক পাল। সেনাবাহিনীতে কাজের সুবাদে বেশ কয়েক বছর কাশ্মীরে কাটানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।

পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় নিজের ক্ষোভ ব্যক্ত করে ঋত্বিক পাল স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, এই হামলার যোগ্য জবাব দেবে ভারতীয় সেনা। তিনি বলেন, “পাকিস্তান যদি মনে করে ভূস্বর্গকে নরক বানাবে, তাহলে ভারতীয় সেনারাও তার যোগ্য জবাব দেবে। জঙ্গিরা যদি পাতালেও লুকিয়ে থাকে সেখান থেকে তাদের টেনে বার করে মারা হবে।” তিনি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে বলেছেন, “সাধারণ পর্যটকদের ধর্ম জেনেই মারা হয়েছে।”

ভারতীয় সেনার ক্ষমতা নিয়ে তিনি বলেন, “ভারতীয় সেনা এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা সেনাবাহিনী। তা নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।” কাশ্মীরে বর্তমানে সেনার দায়িত্বে যিনি রয়েছেন, তিনি একজন স্পেশাল ফোর্সের অফিসার জানিয়ে ঋত্বিক পাল বলেন, “নির্দেশ পাওয়া মাত্রই সেখানে তাণ্ডব চালাতে পারেন তিনি।”

গত মঙ্গলবারের ঘটনায় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। জঙ্গিরা কীভাবে ঢুকে পড়ে সাধারণ পর্যটকদের উপর গুলি চালালো সে প্রসঙ্গে প্রাক্তন এই মেজর তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, “কাশ্মীরের ফেমাস জায়গায় আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে। পহেলগামের থেকে জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট বেতাব ভ্যালি। যখন আমাদের কাছে কোনও খবর আসে আমরা সেই সমস্ত জায়গায় সিকিউরিটি বেশি দিই। তবে ছোটখাটো সব জায়গায় সব সময় নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হয় না।” জঙ্গিরা কেন সাধারণ নিরস্ত্র পর্যটকদের টার্গেট করল সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কারণ, জঙ্গিরা জানে ভারতীয় সেনার মুখোমুখি হতে পারবে না তাই তারা নিরস্ত্র পর্যটকদের উপরে হামলা চালিয়েছে।”

প্রাক্তন মেজর ঋত্বিক পালের এই মন্তব্য পহেলগাঁও হামলার পর দেশের সামরিক মহলের ক্ষোভ এবং দ্রুত ও কঠোর প্রত্যাঘাতের মানসিকতাকেই প্রতিফলিত করছে। তাঁর মতে, যারা এই হামলা চালিয়েছে, তাদের কোনো পরিস্থিতিতেই রেহাই দেওয়া হবে না।