আট বছর পর ট্রেনে সৌরভ, একদিনে দুবার বন্ধে ভারতে, কি বিশেষ কারণ ছিল দাদার?

প্রায় আট বছর পর, ২০১৭ সালের বালুরঘাট সফরের পর আবারও ট্রেনে চড়লেন ভারতীয় ক্রিকেটের মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার তার গন্তব্য ছিল উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার মালদা। বৃহস্পতিবার সকালে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে চেপে মালদা পৌঁছতেই কিংবদন্তী এই ক্রিকেটারকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই উন্মাদনায় ভেসে যায় জেলাটি।

মালদা সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্রিকেটের পরিকাঠামো ঘুরে দেখা এবং একটি ক্রীড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান। সেখানে আইসিসি, বিসিসিআই এবং প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়ার নামে সিএবি-র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্মরণে একটি ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন সৌরভ।

এই সফরে সৌরভ একা ছিলেন না। তার সঙ্গে ছিল বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিএবি-র একঝাঁক প্রতিনিধি দল। সৌরভের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সিএবি-র জুনিয়র ক্রিকেটের দায়িত্বে থাকা সঞ্জয় দাসও ছিলেন এই দলে। প্রসঙ্গত, সৌরভের বায়োপিকের নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাও নাকি সঞ্জয় দাসেরই। প্রাক্তন ক্রিকেটারের কথায়, মালদা জেলায় সৌরভকে ঘিরে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হাওড়া স্টেশনে পৌঁছান সৌরভ। তাকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই হকচকিয়ে যান সেখানে উপস্থিত সাধারণ যাত্রীরা। সেলফি তোলার আবদার থেকে শুরু করে একবার হাত মেলানোর জন্য যেন হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ভোর ৫:৫৫ মিনিটের মালদা টাউনগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে সফর শুরু করেন সৌরভ। তার সঙ্গী হিসেবে সঞ্জয় দাস ছাড়াও ছিলেন সিএবি-র প্রাক্তন সচিব বিশ্বরূপ দে এবং সিএবি-র সাব কমিটির সদস্য শ্রীমন্ত মল্লিক, প্রদীপ কুমার দে ও সৌমেন্দু চট্টোপাধ্যায়।

সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মালদা স্টেশনে ট্রেন পৌঁছতেই সৌরভকে ঘিরে অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা সৌরভের গাড়ির সামনে ভিড় জমায়। তাদের হাতে ছিল সৌরভের ছবি ও প্ল্যাকার্ড। রাস্তার দুধারে অপেক্ষারত মহিলারা ফুল ছুঁড়ে তাকে বরণ করে নেন। একজন ভক্ত তো ব্যানার হাতে কনভয়ের সামনেই চলে আসেন। আমের জন্য বিখ্যাত এই জেলা যেন তাদের প্রিয় মহারাজকে বরণ করে নিতে কোনো কমতি রাখেনি।

সাধারণ মানুষের এই ভালোবাসা ও উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত সৌরভ নিজেও। তিনি জানান, একটি প্রতিযোগিতায় অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েই তার এই মালদা সফর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে চেপেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।