পাকিস্তানে আটক বিএসএফ জওয়ান, সীমান্তে দুই বাহিনীর মধ্যে চলছে পতাকা বৈঠক

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা এবং তার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের কঠোর পদক্ষেপের জেরে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উত্তেজনা এখন চরমে পৌঁছেছে। এই ঘটনার পর সিন্ধু জল চুক্তি সাময়িক রদ করা-সহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচটি কূটনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের এই পদক্ষেপগুলিকে ইসলামাবাদ ‘অ্যাক্ট অব ওয়ার’ বা যুদ্ধকালীন পদক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে। এমনই এক চরম উত্তেজনার আবহে পাঞ্জাব সীমান্তে কর্তব্যরত বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) এর এক জওয়ানকে আটক করল পাকিস্তান রেঞ্জার্স।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই ভারতীয় সেনার এক কর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে মোতায়েন ছিলেন বিএসএফ-এর ১৮২তম ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল পিকে সিং। গত বুধবার বিকেলে তিনি ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এক কৃষিজমির কাছে নিয়মিত টহলদারির দায়িত্বে ছিলেন। টহলদারির সময় স্থানীয় কৃষকরা তাঁকে এক গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে বলেছিল। সূত্রের খবর, সেই গাছের কাছে যেতে গিয়েই অসাবধানতাবশত তিনি ভারতীয় সীমান্তের বেড়া পেরিয়ে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন। ফিরোজপুর সীমান্ত পেরোতেই তাঁকে আটক করে পাকিস্তানি রেঞ্জার্স।

আটকের সময় পিকে সিং সামরিক পোশাকেই ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে সার্ভিস রাইফেলও ছিল।

প্রতিরক্ষা সূত্রে জানানো হয়েছে, সেনা কর্মী বা অসামরিক নাগরিকদের এই ধরনের অনিচ্ছাকৃত সীমান্ত অতিক্রম করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সাধারণত প্রতিষ্ঠিত সামরিক প্রোটোকলের মাধ্যমেই বিষয়গুলির সমাধান করা হয় এবং দ্রুত ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পরই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে পাকিস্তানের হেফাজতে থাকা ওই বিএসএফ জওয়ানকে ভারতে ফেরানো নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং চলছে বলে খবর। তবে আটক জওয়ানকে এখনও ভারতে ফেরত পাঠানো হয়নি।

তবে পহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলার পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে যে চরম টানাপড়েন তৈরি হয়েছে, তাতে এই স্বাভাবিক বিষয় নিয়েও উত্তেজনা ছড়িয়েছে সীমান্ত অঞ্চলে। চরম উত্তেজনার এই আবহে আটক জওয়ানের দ্রুত এবং সুরক্ষিত প্রত্যাবর্তনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।