বিশেষ: পাথরের মতো দেখতে গ্রীষ্মের ম্যাজিক ফুড, খেলেই শরীর ভিতর থেকে করবে ঠাণ্ডা

গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে শরীরকে সুস্থ ও ঠান্ডা রাখা এক বড় চ্যালেঞ্জ। এই সময় অ্যাসিডিটি, ডায়েরিয়া এবং হজমের মতো পেটের সমস্যা প্রায়শই দেখা যায়। শরীরকে অভ্যন্তরীণভাবে শীতল রাখতে এবং এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একটি প্রাকৃতিক উপাদান অত্যন্ত কার্যকরী, আর তা হলো ‘কতিলা’ (Tragacanth Gum)। তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি কতিলা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জেনে নিন গ্রীষ্মে কতিলা খেলে আপনি আর কী কী অসাধারণ উপকার পেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কতিলা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত সহায়ক। এতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরকে বিভিন্ন মরসুমি রোগ এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। প্রখর রোদের ক্লান্তি কাটিয়ে শরীরকে চাঙ্গা রাখতেও এটি শক্তি জোগায়।
হজমের উন্নতি: হজমতন্ত্রের জন্য কতিলা একটি চমৎকার উপাদান। গ্রীষ্মকালে অনেকেই গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য বা বদহজমের মতো পেটের সমস্যায় ভোগেন। কতিলা তার শীতলীকরণ গুণের মাধ্যমে অন্ত্রকে শান্ত করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি পেটের অস্বস্তি কমাতেও পরিচিত।
ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা: কতিলায় রয়েছে অ্যান্টি-এজিং এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি ফ্রি র্যাডিক্যালসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে দীর্ঘ সময়ের জন্য সতেজ ও তারুণ্যময় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, নিয়মিত কতিলা সেবন পিগমেন্টেশন (ত্বকের দাগ) এবং ব্রণের সমস্যা কমাতেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: যারা ওজন কমাতে আগ্রহী, তাদের জন্য কতিলা হতে পারে একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক উপায়। কতিলা খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে, ফলে ঘন ঘন খিদে পায় না। এটি অতিরিক্ত খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে, যা পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সহায়ক হয়।
সুতরাং, গ্রীষ্মের এই সময়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজমশক্তি উন্নত করতে, ত্বককে সুস্থ রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে কতিলাকে আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন।