“‘কংগ্রেসের আসনে’ হিংসা হয়েছে…!”-জেনেনিন মমতার দাবি নিয়ে কী বললেন প্রদেশ সভাপতি?

মুর্শিদাবাদের ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত হিংসার ঘটনায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের বৈঠকে তিনি সরাসরি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “যেখানে গণ্ডগোল হয়েছে সেটা মালদায়, ওটা কংগ্রেসের জেতা আসন। ওরা হিংসা পরিস্থিতি শান্ত করতে মাঠে নামেনি।” যদিও কারও নাম না করলেও, মুখ্যমন্ত্রীর নিশানা যে মালদা দক্ষিণের সাংসদ ইশা খান চৌধুরী, তা স্পষ্ট।
সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় হিংসা ছড়ালেও, মুর্শিদাবাদে সবচেয়ে বেশি অশান্তি হয়েছে। জেলার সামশেরগঞ্জ, জলঙ্গি, সুতি, ধুলিয়ান-সহ একাধিক জায়গায় হিংসা ছড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মাঠে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের বক্তব্য তুলে ধরেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “বহিরাগত ঢুকিয়ে অশান্তি ছড়ানো হয়েছে। এজেন্সি দিয়ে লোক নিয়ে এসে হামলার চক্রান্ত করা হয়েছে।”
কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, “ওয়াকফ নিয়ে কিছু অশান্তি ঘটেছে। প্ররোচনামূলক কথা হয়েছে। এটা মুর্শিদাবাদ না, হয়েছে মালদাতে। ওটা কংগ্রেসের জেতা আসন। জেতার সময় জিতবে আর দাঙ্গা হলে পরিস্থিতি সামলাবেন না এটা হয় না। তৃণমূল যদি করত তাহলে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙা হত না। কর্মীদের বাড়ি ভাঙা হত না। আমি উস্কানি দিতে আসিনি। কারণ আমি শান্তি চাই।”
পাল্টা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার অনলাইন সংবাদ মাধ্যম bangla.aajtak.in-কে বলেন, “নিজের সরকারের ত্রুটি, ব্যর্থতা, অপদার্থতা ঢাকতেই মুখ্যমন্ত্রী স্বজ্ঞানে একথা বলেছেন। আমি চিঠি লিখে হিংসা কঠোর হাতে দমন করতে বলেছিলাম। প্রতিটি থানায় সর্বদলীয় পিস কমিটি গঠন করার কথা বলেছিলাম শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। সরকারি দল ও বিরোধী দলের তরফে যে সব উস্কানিমূলক কথা বলা হয়েছে, সেটা আমরা সরস্বতী পুজোর সময় থেকে দেখছি। নিন্দা করার কোনও ভাষা নেই। যেখানে গোলমাল হয়েছে সেখানে তৃণমূলের তিনজন এমএলএ রয়েছেন। ইশা খান চৌধুরীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মালদা ও মুর্শিদাবাদে বিজেপি ও তৃণমূল গোলমাল লাগাতে চাইছে একটাই কারণে। কারণ এটা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। এসব দাঙ্গা করে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে চাইছে। ভোটব্যাঙ্ককে ডিস্টার্ব করে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছে। ধর্মীয় মেরুকরণে জন্য দুই দলই এই রাজনীতি করছে। বিজেপি চাইছে হিন্দু ভোট, তৃণমূল চাইছে কংগ্রেসের দখলে থাকা মুসলিম ভোট।”
তথ্যসূত্র: আজতক