মুর্শিদাবাদ-ভাঙড়ে অশান্তি! ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর, শান্তি বজায় রাখার আবেদন

কেন্দ্রের ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে মুর্শিদাবাদে উত্তেজনা চলছে, যা ভাঙড়েও ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার শান্তিরক্ষার বার্তা দিয়েছেন। বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি ফের শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান এবং হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি সাহায্যের ঘোষণা করেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা শান্তির বার্তা দিন। শান্তি না থাকলে বিজেপি সুবিধা পাবে। ভাঙড়ে যা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। একটি গাড়ি কিনতে ৪০ লক্ষ টাকা লাগে। যারা অশান্তিতে মারা গেছেন, তাদের ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।”

এছাড়াও, হিংসার ঘটনায় যাদের বাড়ি পুড়েছে, তাদের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, “আমার কাছে খবর আসছে, বিএসএফের চটি-জামা পরে কিছু লোক এসেছে। নন্দীগ্রামে যা হয়েছিল, তেমন কিছু ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে। বিএসএফও গুলি চালিয়েছে। কেন বিএসএফ গুলি চালিয়েছে, তার তদন্ত হওয়া উচিত। শীতলকুচিতেও গুলি চালানো হয়েছিল। যারা মারা গেছেন, তাদের ১০ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করা হবে। যাদের বাড়ি ভেঙেছে, তাদের ‘বাংলার বাড়ি’ করে দেওয়া হবে। যাদের দোকান ভেঙেছে, তাদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”

পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা আরও কয়েক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছে। মালদহের দুটি এবং বীরভূমের তিনটি ব্লকেও মঙ্গলবার পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। প্রশাসনের দাবি, গুজব ছড়িয়ে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, “যারা অশান্তি পাকাচ্ছেন বা মদত দিচ্ছেন, তাদের পাতাল থেকেও খুঁজে বের করা হবে।”

পুলিশের এই সূত্র ধরেই বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা ভুয়ো খবর তৈরি করছেন। বাংলায় বিজেপির কথায় কেউ উত্তেজিত হয়ে অশান্তি করবেন না।” তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও আক্রমণ করে বলেন, “আমি ওঁর নাম আগে নিইনি। উনি এত তাড়াতাড়ি করছেন কেন? ওকে তো প্রধানমন্ত্রী করা হবে না। মোদিজি চলে গেলে কী হবে? সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছেন উনি। মোদিজিকে বলব, ওনাকে নিয়ন্ত্রণ করুন।”