AC-সারাদিন চালিয়েও নামমাত্র বিদ্যুৎ বিল! সিক্রেট জেনেনিন আপনিও

গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে ঘরে এসি চালানো এখন প্রায় বাধ্যতামূলক। তবে মাস শেষে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের ধাক্কা অনেককেই অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি পেতে এসি চালালেও, কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে বিদ্যুৎ বিল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। জেনে নিন সেই টিপসগুলো:
এসির সঠিক তাপমাত্রা নির্ধারণ:
এসির তাপমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা জরুরি। তাপমাত্রা যত কমানো হয়, এসির কম্প্রেসার তত বেশি সময় ধরে চলে, যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে। মনে রাখবেন, এসির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ালে প্রায় ৬ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব। তাই সবসময় ডিফল্ট তাপমাত্রায় এসি সেট করা উচিত।
১৮-২৪ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা রাখুন:
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরের এসির তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখা আদর্শ। এই তাপমাত্রা একদিকে যেমন ঘরকে আরামদায়ক রাখে, তেমনই বিদ্যুৎ বিল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে সবচেয়ে ভালো ফল পেতে ২৩ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা সেট করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘর রাখুন সর্বদা বন্ধ:
এসি চালু থাকুক বা না থাকুক, ঘরের দরজা-জানালা সবসময় বন্ধ রাখা উচিত। খেয়াল রাখতে হবে যাতে বাইরের গরম বাতাস কোনোভাবেই ঘরের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। কারণ ঘরের ভেতরে গরম বাতাস ঢুকলে কম্প্রেসারের উপর বেশি চাপ পড়ে এবং ঘর ঠান্ডা করতে বেশি শক্তি খরচ হয়, যা বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে তোলে।
সঠিক সময়ে এসি বন্ধ করুন:
সারাদিন এসি চালানোর পর গভীর রাতে, যখন বাইরের তাপমাত্রা এমনিতেই কমে যায়, তখন এসি বন্ধ রাখতে পারেন। অনেক সময় রাতের বেলায় এসির প্রয়োজন হয় না। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হল, দিনের বেলায় এসি চালালেও গভীর রাতে তা বন্ধ রাখা।
এসি চালানোর সময় ফ্যান চালু রাখুন:
যখন এসি চালু রাখবেন, তখন অবশ্যই ঘরের সিলিং ফ্যানটিও চালু রাখুন। এর ফলে ঠান্ডা বাতাস দ্রুত ঘরের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়বে এবং ঘর খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। এতে এসির কমপ্রেসারের উপর চাপ কম পড়বে এবং বিদ্যুৎ খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে। ঘর ঠান্ডা করার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করারও প্রয়োজন হবে না।
নিয়মিত এসির সার্ভিসিং:
বছরের নির্দিষ্ট সময় অন্তর এসির সার্ভিসিং করানো অত্যন্ত জরুরি। সার্ভিসিং না করালে এসির ফিল্টারে ধুলো জমতে থাকে। এই ধুলো জমার কারণে এসির কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং ঘর ঠান্ডা করতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই নিয়মিত সার্ভিসিং-এর মাধ্যমে আপনি বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারেন।
এই সহজ টিপসগুলো মেনে চললে একদিকে যেমন আপনি গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে মুক্তি পাবেন, তেমনই আপনার বিদ্যুৎ বিলও থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে। তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই এই নিয়মগুলো অনুসরণ করা শুরু করুন।