‘স্ত্রী’-র দেহ টুকরো টুকরো করে সুটকেসে ভরে পালালো ‘স্বামী’! শ্বশুর-শাশুড়িকে ফোন করে আত্মহত্যার দাবি!

উত্তরপ্রদেশের মেরঠে স্বামী কর্তৃক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সারা দেশে তোলপাড় ফেলেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই, এবার বেঙ্গালুরুর হুলিমাভু এলাকায় ঘটল আরও এক চমকপ্রদ এবং হাড়হিম করা ঘটনা। স্বামী রাকেশ সাম্বেকর স্ত্রীর খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে সুটকেসে ভরে বাথরুমে লুকিয়ে রাখে। এরপর শ্বশুর-শাশুড়িকে ফোন করে জানায় যে, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এবং সন্দেহভাজন স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা রাকেশ ও তার ৩২ বছরের স্ত্রী গৌরী সাম্বেকর গত মাসেই বেঙ্গালুরুতে হুলিমাভু এলাকার দোদ্দা কাম্মনাহাল্লিতে একটি নতুন বাড়ি কিনে বসবাস শুরু করেছিলেন। দুজনেই বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। একদিন রাকেশ তার শ্বশুর-শাশুড়িকে ফোন করে জানায় যে, গৌরী আত্মহত্যা করেছে। শ্বশুর-শাশুড়ি তৎক্ষণাৎ পুলিশে খবর দেন এবং ঘটনাটি মুম্বই পুলিশকে জানানো হয়।
পুলিশের একটি টিম দ্রুত বেঙ্গালুরুর হুলিমাভু এলাকায় পৌঁছায় এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ডিসিপি সারা ফতিমা জানিয়েছেন, ‘‘পুলিশ যখন বাড়িতে পৌঁছায়, তখন বাড়ির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায়, বাথরুমে সুটকেসে ভরা অবস্থায় স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত রাকেশ পালিয়ে গিয়েছিল, তবে তাঁকে অবশেষে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও আঘাতের ধরন জানানো হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাকেশ এবং গৌরীর বিয়েটা মাত্র ২ বছর আগে হয়েছিল। এর মধ্যে এক মাস আগেই তাঁরা নতুন বাড়ি কিনেছিলেন। দুজনেই তাদের কাজ বাড়ি থেকেই করতেন, তাই তারা একে অপরের সান্নিধ্যে থাকতেন। কিন্তু এই অঘটন ঘটে গেল আচমকাই, যা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।
এদিকে, হুলিমাভু থানায় এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।