বিশেষ: শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক যেসব খাবার, দেখেনিন সেই ৫টি খাবারের নাম

প্রতিটি বাবা-মা চান তাঁদের সন্তান তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন এবং সুস্থভাবে বেড়ে উঠুক। শিশুর শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মস্তিষ্কের বিকাশেও বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্কের প্রায় সার্বিক গঠন ও বিকাশ সম্পন্ন হয়। এই সময়ে সঠিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার শিশুর মস্তিষ্ককে সচল রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু খাবার, যা শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখলে তাদের মানসিক বিকাশে উপকার হবে।
ডার্ক চকোলেট: মনোযোগ ও মেজাজের উন্নতি
ডার্ক চকোলেটে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ক্যাফিনের মতো প্রাকৃতিক উদ্দীপক। এগুলো শিশুর মনোযোগ বাড়াতে এবং এন্ডোরফিন উৎপাদনকে উৎসাহিত করে, যা মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ চকোলেটের পরিবর্তে শিশুদের ডার্ক চকোলেট খাওয়ানো উচিত। তবে পরিমাণে সংযত থাকা জরুরি।
তৈলাক্ত মাছ: মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি
তৈলাক্ত মাছ, যেমন স্যামন, ম্যাকেরেল বা সার্ডিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এটি শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষভাবে উপকারী। নিয়মিত এই ধরনের মাছ খাওয়ালে শিশুর চিন্তাশক্তি ও শেখার ক্ষমতা উন্নত হয়।
বাদাম ও বীজ: ভিটামিন ই-এর উৎস
বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার, যেমন আখরোট, কাজু, পেস্তা, চিনা বাদাম, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ ও তিল, ভিটামিন ই-এর চমৎকার উৎস। এই ভিটামিন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস রোধ করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এগুলো যোগ করলে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
ব্লুবেরি: স্মৃতিশক্তির সহায়ক
ব্লুবেরি ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি শিশুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মস্তিষ্ককে সচল রাখে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। ব্লুবেরি সরাসরি খাওয়ানো বা স্মুদির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে শিশুরা আগ্রহের সঙ্গে খাবে।
ওটস: মানসিক ও শারীরিক উন্নতি
ওটসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে, যা পেটের সমস্যা দূর করে এবং শরীরে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায়। এটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক। ওটস দিয়ে তৈরি কুকিজ, কেক বা বিস্কুট শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু বিকল্প হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্জয় মিত্র বলেন, “শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে খাদ্যতালিকার ভূমিকা অপরিসীম। প্রথম পাঁচ বছরে সঠিক পুষ্টি না পেলে শিশুর শেখার ক্ষমতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে।” তিনি পরামর্শ দেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ও পুষ্টিকর খাবার শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
বাবা-মায়েরা যদি শিশুর প্রতিদিনের খাবারে এই উপাদানগুলো যোগ করেন, তবে তাদের মস্তিষ্কের বিকাশের পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্যও উন্নত হবে। তাই শিশুর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আজ থেকেই খাদ্যতালিকায় এই পরিবর mallsন আনুন।