
লজ্জার ভয়ে সবাই চুপ করে থাকত। কিন্তু একজন সাহস করে মুখ খুললেন, আর তাতেই খুলে গেল পর্দা। কলেজের এক অধ্যাপকের আসল চেহারা সামনে এল। ছাত্রীদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত ওই প্রফেসরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের হাথরসের শেঠ ফুলচন্দ পিজি কলেজের। অভিযুক্ত ওই অধ্যাপক ভূগোল বিভাগের প্রধান। গত ১৩ মার্চ এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। সম্ভবত তিনি কলেজেরই একজন ছাত্রী। পুলিশ ও মহিলা কমিশনের কাছে তিনি চিঠির সঙ্গে প্রমাণ পাঠিয়েছেন, যেখানে অধ্যাপকের কুকীর্তির বিবরণ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪(২) (ধর্ষণ), ৬৮ (পদমর্যাদা ব্যবহার করে শারীরিক সম্পর্ক), এবং ৭৫ (যৌন হেনস্থা) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, এবং অভিযোগকারীণীকে খুঁজে বের করার চেষ্টাও চলছে।
অভিযোগকারীণী কী বলেছেন?
চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ওই অধ্যাপক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন। এমনকি সেই ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করে তাদের আরও হেনস্থা করতেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি বলে তিনি দাবি করেছেন।
চিঠিতে অভিযোগকারীণী লিখেছেন, “সরকার বলে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’। কিন্তু তারপরও কিছু লোক মেয়েদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। এই লোকটির জন্য আমি এতটাই হতাশ যে মাঝেমধ্যে আত্মহত্যার কথা মনে আসে। দয়া করে ছাত্রীদের বাঁচান। লোকলজ্জার ভয়ে কেউ মুখ খুলবে না। এই দানবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, আমার মতো আরও অনেক মেয়ের বিচার করুন।” চিঠির সঙ্গে তিনি কয়েকটি ছবি পাঠিয়েছেন, যেখানে অধ্যাপককে অশোভন কাজ করতে দেখা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছাত্রীদের সঙ্গে অধ্যাপকের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হয়েছে।