
প্রেমিকাকে না পেয়ে মোবাইল টাওয়ারের মাথায় উঠে বিক্ষোভ দেখালেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের গড়িয়াবান্ধ জেলার মৌনপুর গ্রামে। প্রেমিকার নাম রেখেছেন ‘বাসন্তী’, আর তাঁকে না পাওয়া পর্যন্ত টাওয়ার থেকে নামবেন না বলে জেদ ধরে বসেছিলেন ওই যুবক। গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও স্থানীয়দের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর অবশেষে তাঁকে নিরাপদে নামানো সম্ভব হয়।
কী ঘটেছিল?
জানা গেছে, ওই যুবকের নাম রোহন। তিনি তাঁর প্রেমিকা বা ‘বাসন্তী’র সঙ্গে থাকার জন্য গোঁ ধরেছিলেন। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে গভীর রাতে মোবাইল টাওয়ারের মাথায় উঠে যান। টাওয়ারে বসে বারবার চিৎকার করে বলতে থাকেন, “বাসন্তীকে না পেলে নামব না।” আশপাশের গ্রামবাসীরা ঘটনা দেখে ভিড় জমান এবং পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশের হস্তক্ষেপ
খবর পেয়ে মৌনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। এসডিওপি এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিব হুডা যুবককে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁকে নামতে বলা হলে রোহন বান্ধবীকে ফোন করার দাবি জানাতে থাকেন। গ্রামবাসীদের ডাকাডাকিতে কোনও কাজ না হওয়ায় পুলিশের ওপর ভরসা রাখতে হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা আলোচনা ও চেষ্টার পর অবশেষে রোহনকে নিরাপদে টাওয়ার থেকে নামানো সম্ভব হয়।
পুলিশের বক্তব্য
মৌনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিব হুডা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, “যুবকটি মোবাইল টাওয়ারে উঠে বসেছিল এবং প্রেমিকাকে না পাওয়া পর্যন্ত নামবে না বলে জেদ করছিল। আমরা তাঁকে নিরাপদে নামিয়েছি।” তবে রোহনের এই আচরণের পেছনে প্রকৃত কারণ কী এবং তাঁর মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এলাকায় চাঞ্চল্য
গভীর রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা মৌনপুর গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রোহনের চিৎকারে অনেকেই ঘুম থেকে জেগে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। কেউ কেউ এটিকে প্রেমের জন্য উন্মাদনা হিসেবে দেখলেও, অনেকে যুবকের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তদন্ত চলছে
পুলিশ এখন ঘটনার পেছনের আসল কারণ অনুসন্ধান করছে। রোহনের পরিবার এবং তাঁর প্রেমিকার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, এবং পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়োজনে যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রেমের জন্য এমন চরম পদক্ষেপ ছত্তিশগড়ে আগে দেখা যায়নি। এই ঘটনা এখন স্থানীয়দের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে।