“ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্ব জোরদার করতে স্টারলিঙ্কের সুবিধা নিচ্ছে মোদী”- বিস্ফোরক দাবি কংগ্রেসের

ভারতে স্টারলিঙ্কের আগমন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য। সম্প্রতি ইলন মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্কের সঙ্গে এয়ারটেল ও জিও-র চুক্তির ঘোষণায় বিতর্কের আগুন জ্বলে উঠেছে। কংগ্রেসের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং এই চুক্তির পিছনে রয়েছেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতেই এই পদক্ষেপ।

কংগ্রেস নেতা জয়রামের অভিযোগ, ‘এটি স্পষ্ট যে এই গাঁটছড়া আর কেউ নয়, প্রধানমন্ত্রী নিজেই পরিকল্পনা করেছেন। স্টারলিঙ্কের ইলন মাস্কের মাধ্যমে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও জোরদার করার চেষ্টা করছেন।জয়রামের প্রশ্ন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে ইন্টারনেট সংযোগ চালু বা বন্ধ করার ক্ষমতা কার হাতে থাকবে? সেটি কি স্টারলিঙ্কের হাতে থাকবে, নাকি ভারতীয় সংস্থার হাতে থাকবে? কৃত্রিম উপগ্রহ নির্ভর পরিষেবা প্রদানকারী অন্য সংস্থাগুলিকেও কি এর অনুমতি দেওয়া হবে? কিসের ভিত্তিতে তা দেওয়া হবে?’

এদিকে, কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টারলিঙ্ককে স্বাগত জানালেও, পরে সেই পোস্ট মুছে ফেলেন। যা নিয়ে সন্দেহ আরও বেড়েছে।

ভারতীয় টেলিকম সংস্থাগুলি এতদিন কৃত্রিম উপগ্রহ নির্ভর পরিষেবার স্পেকট্রাম নিলামের দাবি তুলছিল। কিন্তু স্টারলিঙ্ককে প্রশাসনিক স্তর থেকে সরাসরি অনুমোদন দেওয়া হলে, এটি এয়ারটেল ও জিও-র জন্য সুবিধাজনক হয়ে উঠবে।

উল্লেখ্য, স্টারলিঙ্ক হল স্পেসএক্সের মালিকানাধীন এক উপগ্রহ ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা, যা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ ব্যবহার করে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে স্ট্রিমিং, ভিডিও কল ও অনলাইন গেমিং সহজেই সম্ভব।

এখন প্রশ্ন, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই কি স্টারলিঙ্ক ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে? নাকি রাজনৈতিক স্বার্থই হয়ে উঠবে মুখ্য বিষয়? সময়ই তার উত্তর দেবে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy