
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থানার এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিএসএফ জওয়ানের ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, নাবালিকাকে বিএসএফ ক্যাম্পের ভিতরে একটি আবাসনে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে, যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
জানা গিয়েছে, নাবালিকা ধূপগুড়ি মহকুমার বাসিন্দা এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পরীক্ষার জন্য বেরিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে থাকার কথা জানিয়ে গিয়েছিল সে। কিন্তু পরে বান্ধবীর কাছ থেকে ফোন পেয়ে জানা যায়, নাবালিকাকে জলপাইগুড়ির রানিনগরের বিএসএফ ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য মমতা সরকার বৈদ্যকে সঙ্গে নিয়ে বিএসএফ ক্যাম্পে যান। কোতোয়ালি থানার পুলিশের সহায়তায় মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে ক্যাম্পের ভিতরে তল্লাশি চালায় পুলিশ। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয় এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত জানান, নাবালিকাকে উদ্ধার করার পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশের অনুরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং মেয়েটিকে খুঁজে পেয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বাবা বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। অভিযুক্ত ও নাবালিকা, উভয়েই অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং তাদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল।
ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পুলিশ যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।