
ভারতীয় রেলে নতুন পদক্ষেপ: খাবারের মেনু-মূল্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক, QR কোডে বাড়বে স্বচ্ছতা
নয়াদিল্লি, [তারিখ]: ভারতীয় রেলে যাত্রীদের জন্য খাবার পরিষেবায় বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এবার থেকে ট্রেনে পরিবেশিত খাবারের মেনু ও মূল্য তালিকা প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি, খাবারের গুণগত মান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্যাকেটে QR কোড ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। বুধবার লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
মেনু ও মূল্য তালিকা সহজলভ্য
রেলমন্ত্রী জানান, যাত্রীদের সুবিধার জন্য ট্রেনে খাবারের মেনু কার্ড ও রেট তালিকা সহজে পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই আইআরসিটিসি (IRCTC) ওয়েবসাইটে খাবারের মেনু ও দাম সংক্রান্ত তথ্য উপলব্ধ করা হয়েছে। এছাড়া, ট্রেনে কর্মরত ওয়েটারদের কাছেও এই তালিকা থাকবে, যাতে যাত্রীরা সরাসরি খাবারের মূল্য ও বিকল্পগুলি সম্পর্কে জানতে পারেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল খাবারের দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করা এবং পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনা।
SMS ও QR কোডে তথ্য
খাবারের দাম ও পরিষেবা সম্পর্কে আরও স্বচ্ছতা আনতে ভারতীয় রেল SMS সতর্কতা চালু করেছে। যাত্রীদের মোবাইলে পাঠানো এই বার্তায় মেনু ও দামের তথ্যসহ একটি লিঙ্ক থাকবে। এছাড়া, খাবারের প্যাকেটে QR কোড যুক্ত করা হবে। এই কোড স্ক্যান করে যাত্রীরা জানতে পারবেন খাবার কোথায় তৈরি হয়েছে, কখন প্যাক করা হয়েছে এবং কী কী উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা খাবারের গুণগত মান সম্পর্কে যাত্রীদের আস্থা বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্যান্ট্রি কারে নজরদারি জোরদার
ট্রেনে খাবারের মান ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্যান্ট্রি কার ও বেস কিচেনগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে রান্নার প্রতিটি ধাপ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। রেলমন্ত্রী জানান, খাবারের মানোন্নয়নের জন্য ব্র্যান্ডেড চাল, আটা, ডাল, মসলা এবং দুগ্ধজাত পণ্য ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নিয়মগুলি কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
যাত্রীসেবায় নতুন মাত্রা
ভারতীয় রেলের এই নতুন উদ্যোগের ফলে ট্রেনে খাবার সংক্রান্ত অভিযোগ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাত্রীরা এখন স্বচ্ছ ও মানসম্মত পরিষেবা পাবেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “আমাদের লক্ষ্য যাত্রীদের ভ্রমণকে আরও সুবিধাজনক ও আনন্দদায়ক করা। খাবারের মান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
এই পদক্ষেপকে যাত্রীরা স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, QR কোড ও SMS-এর মতো প্রযুক্তির ব্যবহার রেলভ্রমণকে আরও আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য করে তুলবে। আগামী দিনে এই নিয়ম কতটা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়, সেদিকে নজর রাখছে সকলে।