
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে গণহত্যার ঘটনায় এই মামলায় আজ বুধবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। একই মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন আইজিপি বেনজীর আহমেদ, গণজাগরণ মঞ্চের নেতা ইমরান এইচ সরকার এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এছাড়াও, এই মামলায় জিয়াউল আহসানসহ চারজনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। জিয়াউল আহসান বর্তমানে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার অবস্থায় রয়েছেন। আদালত আগামী ১২ মে পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এদিন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, প্রাক্তন আইজিপি শহিদুল হক, প্রাক্তন সেনা আধিকারিক জিয়াউল আহসান এবং প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক মোল্লা নজরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন ‘সুধা সদন’ এবং তাঁর পরিবারের ১২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বাসভবনটি শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে রয়েছে, যিনি বাংলাদেশে সুধা মিয়া নামে পরিচিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং পরে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় শেখ হাসিনা কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তবে এই ঘটনার জন্য তিনি ভারতে বসে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন নোবেল laureate মুহাম্মদ ইউনূস।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই নতুন মামলা এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। এই ঘটনায় তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী দিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে এখনই অনুমান করা যাচ্ছে না। তবে এই মামলার তদন্ত এবং আদালতের রায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।