
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে কেরল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন ইউটিউবার হাফিজ সজীব। ইউটিউবে ‘থ্রিকান্নান’ নামে পরিচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরের বিরুদ্ধে এক তরুণী প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন।
কী অভিযোগ উঠেছে সজীবের বিরুদ্ধে?
সূত্রের খবর, কাজের সূত্রে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় সজীবের। ইউটিউব রিলস বানানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে নিয়ে যেতেন তিনি। সেই সময় থেকেই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। অভিযোগকারিণী জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন সজীব। কিন্তু ধীরে ধীরে সজীবের আচরণ পরিবর্তিত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তিনি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। প্রতারিত হয়ে ওই তরুণী পুলিশের দ্বারস্থ হন।
আইনানুগ ব্যবস্থা ও পুলিশের পদক্ষেপ
তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে কেরল পুলিশ ইউটিউবার হাফিজ সজীবকে গ্রেফতার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (BNS) ৬৯ ও ৭৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বিয়ে ভঙ্গের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আইনি দৃষ্টিভঙ্গি
ভারতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা যদি প্রতারণামূলক হয় এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময়ই প্রতারিত করার উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে তা ধর্ষণের সমতুল্য হিসেবে ধরা হয়। যদি প্রতিশ্রুতি দেওয়া ব্যক্তি প্রমাণ করতে পারেন যে তাঁর উদ্দেশ্য প্রতারণার ছিল না এবং বাস্তব পরিস্থিতির কারণে বিয়ে সম্ভব হয়নি, তাহলে সেই অভিযোগ ভিন্নভাবে বিচার করা হয়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেরল জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ ইউটিউবার হাফিজ সজীবের গ্রেফতারির খবরে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। কেউ কেউ তরুণীর পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচারের দাবি তুলছেন, আবার কেউ বলছেন, আইনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
এখন কী হবে?
বর্তমানে হাফিজ সজীব পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তদন্তের পরই ঠিক হবে তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ঘটনা ডিজিটাল দুনিয়ায় জনপ্রিয়তা পাওয়া ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক দায়িত্ব সম্পর্কে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।