
কুমোরটুলির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ঘোলা থানার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে একটি অ্যাপ ক্যাবে রাখা ট্রলি ব্যাগের মধ্যে উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ। এই ঘটনায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে, তবে তার সঙ্গী পলাতক রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ দমদম নাগেরবাজার এলাকা থেকে দুই যুবক একটি অ্যাপ ক্যাব বুক করেন। তাদের সঙ্গে ছিল একটি ট্রলি ব্যাগ ও একটি বস্তা। নিমতা হয়ে মুড়াগাছা ব্রিজ পেরিয়ে ঘোলা মহিষপোতার কাছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে একটি অন্ধকার জায়গায় গাড়ি থামাতে বলেন তারা। গাড়ির ডিকি থেকে ট্রলি ব্যাগটি নামানোর সময় ক্যাব চালকের সন্দেহ হয়। ব্যাগটি অস্বাভাবিক ভারী মনে হওয়ায় তিনি জানতে চান, এতে কী আছে এবং ফাঁকা জায়গায় গাড়ি থামানোর কারণ কী। এই নিয়ে দুই যুবকের সঙ্গে চালকের তর্কাতর্কি শুরু হয়।
এই সময় ঘোলা থানার টহলরত পুলিশ ভ্যান ঘটনাস্থলের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। ঝামেলা দেখে পুলিশ এগিয়ে আসতেই এক যুবক পালিয়ে যায়। অন্যজনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর ট্রলি ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে পড়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ব্যাগের ভিতরে পাওয়া যায় এক যুবকের মৃতদেহ, যার মুখ সেলোটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। ঘটনার খবর পেয়ে ঘোলা থানা ও নাগেরবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ব্যাগ থেকে একটি রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র, ৬৫ হাজার টাকা এবং কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুই যুবকের পরিকল্পনা ছিল মৃতদেহটি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ফাঁকা জায়গায় ফেলে পালিয়ে যাওয়ার। ধৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, কোথায় এবং কেন এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘোলা ও নাগেরবাজার থানার পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কুমোরটুলিতে একটি ট্রলি ব্যাগ থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাঁকে মধ্যমগ্রামে খুন করে দেহটি কুমোরটুলিতে আনা হয়েছিল। সেই ঘটনায় এক মহিলা ও তাঁর কন্যাকে গ্রেফতার করা হয়। এবার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ঘটনা নতুন করে শহরে শিহরণ জাগিয়েছে।