বিরাট চমক নিয়ে হাজির পতঞ্জলী, এবার গাছ থেকে পেড়ে আনা ফলের স্বাদ পাবেন প্যাকেটেই

ব্যবসার পরিধি আরও বাড়াচ্ছে পতঞ্জলী। শীঘ্রই নাগপুরে চালু হতে চলেছে সংস্থার নতুন ফল ও সবজি প্রসেসিং প্ল্যান্ট। এখানে তৈরি হবে লেবুসহ বিভিন্ন মরশুমি ফল ও সবজির রস, তাদের পাল্প ও পিউরি। আগামী ৯ মার্চ থেকে ‘পতঞ্জলী মেগা ফুড অ্যান্ড হার্বাল পার্ক’ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে চলেছে।

নাগপুর তার কমলালেবুর জন্য বিশ্ববিখ্যাত। এই কারণেই শহরটিকে প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছে পতঞ্জলী। এই প্ল্যান্টে প্রতিদিন ৮০০ টন ফ্রোজেন জুস কনসেনট্রেট তৈরি করা হবে, যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত হবে এবং কোনও সংরক্ষণকারী বা চিনি ব্যবহার করা হবে না।

শুধু লেবু নয়, আরও বিভিন্ন ফল ও সবজির রস তৈরি হবে এই কারখানায়—

আমলা – ৬০০ টন
আম – ৪০০ টন
পেয়ারা – ২০০ টন
আপেল – ২০০ টন
বেদানা – ২০০ টন
স্ট্রবেরি – ২০০ টন
পাম – ২০০ টন
ন্যাসপাতি – ২০০ টন
টমেটো – ৪০০ টন
লাউ – ৪০০ টন
করলা – ৪০০ টন
গাজর – ১৬০ টন
অ্যালোভেরা – ১০০ টন
টেট্রা প্যাক ইউনিট: কোনোরকম প্রিজারভেটিভ ছাড়াই প্যাকেজিং
নাগপুরের কারখানায় টেট্রা প্যাক ইউনিট তৈরি করা হবে, যেখানে কোনও প্রিজারভেটিভ বা চিনি ছাড়াই সুন্দরভাবে জুস প্যাকেজ করা হবে।

এই প্রক্রিয়ায় একটিও অংশ নষ্ট হবে না। যেমন—

ফলের খোসা ও বর্জ্য অংশ ব্যবহার করা হবে প্রসাধনী তৈরিতে।
কমলালেবুর খোসা থেকে তেল নিষ্কাশন করা হবে, যা বাজারে প্রচুর চাহিদাসম্পন্ন।
কমলালেবুর পাল্প দিয়ে তৈরি হবে নাগপুর কমলা বরফি।
গম পেষাই ইউনিট ও বিস্কুট কারখানার সংযোগ
এই বিশাল কারখানার ভেতরেই একটি আটা পেষাই ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে, যেখানে প্রতিদিন ১০০ টন আটা উৎপাদিত হবে। এরপর তা মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ এবং তেলঙ্গানার পতঞ্জলী বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে ফলের রস, পাল্প এবং টেট্রা প্যাকিং চালু করা হবে। প্রথম ধাপেই ১০০০ টন মিষ্টি লেবু প্রসেসিং করা হবে।

পতঞ্জলীর এই মেগা ফুড পার্ক কেবল ভারতীয় খাদ্য ও প্রসাধনী বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।