OMG! “ভুল করে বাড়ি-ঘরে বোমা ফেলল যুদ্ধবিমান”- ছুটে পালালো সকলে, জেনেনিন কোথায়?

দক্ষিণ কোরিয়ায় এক দুর্ঘটনাজনিত ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পোচিয়ান এলাকা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে সামরিক মহড়ার সময় একটি যুদ্ধবিমান ভুলবশত বেসামরিক এলাকায় বোমাবর্ষণ করে। এ ঘটনায় আটজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। বোমাবর্ষণের ফলে স্থানীয় বাড়িঘর ও একটি গির্জা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী সিউলের প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি পোচিয়ান এলাকায়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর একটি কেএফ-১৬ যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ চলাকালীন আটটি এমকে-৮২ বোমা ভুল করে নির্ধারিত ফায়ারিং রেঞ্জের বাইরে ফেলে। এই বোমাগুলো বেসামরিক এলাকায় আঘাত হানে, যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে ঘটনাটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে, “অনিচ্ছাকৃতভাবে বোমা নিক্ষেপের জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত, যার ফলে বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন। আমরা আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।” বিমান বাহিনী আরও জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি দুর্ঘটনা প্রতিক্রিয়া কমিটি গঠন করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, আহত আটজনের মধ্যে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বোমার আঘাতে একটি গির্জা ভবন এবং দুটি বাড়ির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
এই ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিমান বাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানটি যৌথ লাইভ-ফায়ার মহড়ায় অংশ নিচ্ছিল, যাতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী এবং সেনাবাহিনী উভয়ই জড়িত ছিল। রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পোচিয়ানে এই সম্মিলিত লাইভ-ফায়ার মহড়ার আয়োজন করছিল।
এই ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর জন্য একটি বড় ধরনের অপমান হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে এই ধরনের দুর্ঘটনা নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সামরিক মহড়ার সময় বেসামরিক এলাকায় বোমাবর্ষণের মতো ঘটনা বিরল নয়, তবে এর ফলে মানবিক ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্য।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ এখন ঘটনাটির তদন্ত করছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি এখন সবচেয়ে জরুরি।