“আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য ব্যবহার করা হবে এই”- বড় ঘোষণা করলো Google

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন এবং টেক জায়ান্ট গুগলের আদর্শ বা মটো হলো ‘কখনও খারাপ হবে না’। শুধু তাই নয়, ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে এতদিন কিছু নীতিমালা মেনে চলত গুগল।

সেসব নীতির মধ্যে একটি হলো আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি থেকে বিরত থাকা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করা। এসব নীতিমালা অবশ্য গুগলের নিজেদেরই তৈরি।

কিন্তু গুগলের কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে সংস্থাটি সেই সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে আসছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। সম্প্রতি সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করবে গুগুল। কারণ হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাকে উল্লেখ করেছে কোম্পানি।

“আমরা আশা করছি, আমাদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাধীনতা, সমতা এবং অন্যান্য মৌলিক মানবাধিকারের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখবে,” বলা হয়েছে গুগলের বিবৃতিতে। তবে প্রস্তাবিত নতুন বুদ্ধিমত্তা আগ্নেয়াস্ত্র পরিচালনা ও যুদ্ধক্ষেত্রে কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, সে সম্পর্কি কোনো আভাস বিবৃতিতে দেয়নি গুগল। পাশাপাশি এ বুদ্ধিমত্তা কীভাবে একই সঙ্গে যুদ্ধ-সংঘাত ও মানবাধিকার রক্ষায় সহায়ক হবে— সে সম্পর্কেও বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে বর্তমানে সামরিক খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চাহিদা প্রতিদিন বাড়ছে। কিন্তু যেসব কোম্পানি সামরিক খাতে ব্যবহারের উপযোগী বুদ্ধিমত্তা তৈরি করছে, সেগুলোর অধিকাংশই খুঁতযুক্ত এবং এসব বুদ্ধিমত্তার সরবরাহকৃত তথ্য ব্যবহারের ফলে অনেক সময়েই বেসমারিকদের নিহত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। গুগলের মতো বড় কোম্পানি যদি এ খাতে আসে, তাহলে সামরিক খাতে ব্যবহৃত বুদ্ধিমত্তার গুণ এবং মান উভয়েরই নাটকীয় পরিবর্তন হবে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy