১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা, তবে তার আগেই বড় এক বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছেন প্রায় ৫০ জন পরীক্ষার্থী। বিভিন্ন জেলার, বিশেষ করে কোচবিহার জেলার, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কেউ অ্যাডমিট কার্ড পাননি। এর ফলে তাদের পরীক্ষা দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। ইতিমধ্যে, তাদের অভিভাবকরা ডিরোজিও ভবনে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। কিন্তু সেখান থেকে জানানো হয়, পরিস্থিতি শীঘ্রই পরিবর্তন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। পরে এই অভিভাবকেরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এদিকে, কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি হাই স্কুল-এর সেকেন্ড বয় শুভ রায় এই পরিস্থিতির অন্যতম এক মুখ। শুভ দাবি করেছেন, সে ফর্ম ফিলাপ করেছিল নিয়ম মেনে, কিন্তু তার অ্যাডমিট কার্ড অন্য সকল ছাত্রের থেকে আসেনি। স্কুলের কৃতী ছাত্র শুভ খুব ভালো নম্বর পেয়েছে টেস্টে এবং মাধ্যমিক পরীক্ষায়ও ভালো ফলের আশা করছে, কিন্তু এখন সে পরীক্ষাটি দিতে পারবে তো? এই নিয়ে তার উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শুভ রায় বলেন, “আমি যখন নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়, তখন রেজিস্ট্রেশন করি। এরপর দশম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে মাধ্যমিকের টেস্টেও অংশ নিয়েছিলাম। অ্যাডমিট কার্ডের জন্য আমি সব কিছু ঠিক মতো দিয়েছি। কিন্তু কেন আমার কার্ড আসেনি?”
শুভর পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের গাফিলতি-র কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কৃষক পরিবারের ছেলে শুভ প্রশাসনিক স্তরের অনেক কিছুই বোঝেন না। তার পরিবার স্কুলের কাছে জানিয়েছে যে ফর্ম ফিলামে কিছু ভুল ছিল, যার কারণে অ্যাডমিট কার্ড এখনও আসেনি।
মাধ্যমিক পর্ষদ-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি। শুভ জানায়, “আমাকে বলা হয়েছে, আমি ফর্ম ফিলাপ করিনি, কিন্তু আমি তো ফর্ম ফিলাপের রিসিভ কপি স্কুলে জমা দিয়েছিলাম!”
এই ঘটনায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বর্ণ কমল রায় জানান, “আমরা শিলিগুড়িতে ডেপুটি সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলেছি, তবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর কিছু করার নেই।” তিনি আরও জানান, “এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা পর্ষদকে মেইল করেছি এবং আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।”
এখনো পর্যন্ত ৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সমাধান হয়নি, এবং তারা সকলেই পরীক্ষা দিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে অস্থিরতায় রয়েছেন।