![](https://techinformetix.in/wp-content/uploads/2025/02/Untitled-134-1024x503.jpg)
দত্তপুকুরে উদ্ধার হওয়া কাটা মুন্ডু এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তবে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে দেহটি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। সোমবার পুকুরের পাশে একটি মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধার হয়, এবং পরে পুলিশ কাটা হাতের উল্কি দেখে ওই দেহটি হজরত লস্কর নামে এক দুষ্কৃতীর বলে শনাক্ত করে। পুলিশ জানায়, হজরত লস্করের বয়স আনুমানিক ৪০ বছর, এবং সে একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল, যার মধ্যে চুরি, ছিনতাই এবং মাদক পাচারের অভিযোগও রয়েছে।
পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, হজরত লস্কর ২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার আঙুলকাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন এবং একটি বড় দুষ্কৃতী গ্যাংয়ের সদস্য ছিলেন। হজরত প্রধানত বরানগর, হাওড়া ও হুগলি এলাকায় চুরি ও ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত ছিল। সম্প্রতি, সে উত্তরপাড়া থানার এক অফিসারের সহযোগিতায় জীবনের মূলস্রোতে ফিরতে শুরু করেছিল এবং পুলিশের ইনফর্মার হিসেবে কাজ করছিল, যার ফলে একাধিক দুষ্কৃতীকে ধরিয়ে দিয়েছিল।
পুলিশের ধারণা, হজরতকে খুন করেছে তার নিজ গ্যাংয়ের সদস্যরা। এই ঘটনায় পুলিশ ওয়াহদুল গাজি নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে, তবে হজরতের মুন্ডুর খোঁজ এখনও মেলেনি।
তবে তদন্তে আরও একটি নতুন দিক প্রকাশ পায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হজরত লস্কর এবং ওয়াহদুল গাজির স্ত্রীর মধ্যে পরকীয়া ছিল। এই ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের কারণেও হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে পুলিশের সন্দেহ। আপাতত, পুলিশ গাজির স্ত্রীকেও আটক করেছে এবং ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
এখন পর্যন্ত দেহটির রহস্যভেদ হয়েছে, তবে মুন্ডু উদ্ধার করতে পুলিশের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।