আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগমুহূর্তে ব্যাট হাতে ফর্ম নিয়ে ধুঁকছেন ভারতীয় দুই প্রধান তারকা রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের ফর্ম নিয়ে অনেক বেশি সমালোচনাও হয়েছে। এরই মাঝে আসন্ন টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নামছে ভারত। তার আগে ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ ও ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন করায় চটে গেছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত।
আজ (বুধবার) নাগপুরে সিরিজ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘এসব কী ধরনের প্রশ্ন? এটি ভিন্ন ফরম্যাট, সময়ও ভিন্ন। ক্রিকেটার হিসেবে উত্থান-পতন থাকবেই, এটা আমরা সকলেই জানি। যা আমার পুরো ক্যারিয়ারে অনেকবার দেখেছি, তাই কিছুই আমার কাছে নতুন নয়। প্রতিটি দিনই আমাদের জন্য নতুন দিন, প্রতিটি সিরিজই নতুন শুরুর।’
‘আমি আসন্ন চ্যালেঞ্জের দিকে তাকিয়ে আছি, অতীতে কী হয়েছে সেদিকে নয়। সেটি আপনার জন্য যেমন, তেমনি আমার ক্ষেত্রেও পেছনে ফেরার কোনো যুক্তি নেই। যদিও অনেক ভালো মুহূর্তও পার করে এসেছি। এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সামনে যা আসছে তাতে মনোযোগ দেওয়া এবং নিজের ভেতর যা আছে তা দিয়ে মোকাবিলা করা। নিজেদের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে সিরিজ শুরুর চেষ্টা করছি।’
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, রোহিতকে সাম্প্রতিক সময়ে এত আগ্রাসী ও ক্ষুব্ধ দেখা যায়নি। কয়েক মাস আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে নিজেদের সর্বনিম্ন ৪৬ রানে অলআউট হয়েছিল ভারত। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসেও বেশ ধীরস্থির ও শান্ত মেজাজ দেখিয়েছেন রোহিত। কিন্তু আজ ছিল ভিন্ন চিত্র। ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাওয়ায় রোহিতের জবাব ছিল এমন– ‘যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও তিন ম্যাচে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে, এই মুহূর্তে এ ধরনের প্রশ্ন কতটা প্রাসঙ্গিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই এ ধরনের প্রতিবেদন হচ্ছে, কিন্তু আমি সেসব প্রতিবেদন স্পষ্ট করার জন্য আসিনি। এই মুহূর্তে আমার জন্য সামনের তিন ম্যাচ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমার মনোযোগও এসব ম্যাচের দিকে। সামনে কী ঘটবে আমরা দেখতে পাব।’
আগামীকাল থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে ভারত-ইংল্যান্ড। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। মেগা এই প্রতিযোগিতায় ভারত প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবে ২০ ফেব্রুয়ারি। টুর্নামেন্টে ভারতের গ্রুপ ‘এ’–তে রয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড।