বন্ধ হলো ফিটজির একাধিক কোচিং সেন্টার, অন্ধকারে শত শত শিক্ষার্থী, ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা!

দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং বিহারে ফিটজির বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শত শত শিক্ষার্থী চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির লক্ষ্মী নগর, নয়ডা সেক্টর ৬২, উত্তরপ্রদেশের মেরঠ, গাজিয়াবাদ, লখনউ ও বারাণসী এবং মধ্যপ্রদেশের ভোপাল ও বিহারের পটনার ফিটজির শাখাগুলি বন্ধ হয়ে গেছে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (আইআইটি-জেইই)-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কোচিংয়ের জন্য ফিটজি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু কেন্দ্রের শিক্ষকদের বেতন দিতে না পারার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বেতন না পাওয়ায় শিক্ষকরা চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় বাধ্য হয়ে সেন্টারগুলি বন্ধ করে দিতে হয়েছে ফিটজি কর্তৃপক্ষকে। গাজিয়াবাদের সেন্টারটি নয়ডা থেকে শিক্ষক এনে চালু রাখার চেষ্টা করা হলেও, শেষ পর্যন্ত দু’দিনের মধ্যেই সেটিও বন্ধ করে দিতে হয়।
এভাবে আকস্মিকভাবে সেন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ। গাজিয়াবাদ ও নয়ডার অভিভাবকরা থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। তাদের অভিযোগ, কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। গাজিয়াবাদের সেন্টারের শিক্ষকদের বেতন না দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসকে পটনার এক ফিটজি শিক্ষক জানান, তারা বহু মাস ধরে বেতন পাননি। তিনি আরও জানান যে, গত বছর নভেম্বরে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন, কারণ তিনি জুলাই মাস থেকে বেতন পাচ্ছিলেন না। সম্প্রতি ফিটজির বেশ কিছু সেন্টারের বিরুদ্ধে অগ্নি নির্বাপক নিয়ম এবং লাইসেন্সিং সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠেছে।
এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট:
শিক্ষকদের বেতন বকেয়া থাকার কারণে তারা চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন, যার ফলে সেন্টারগুলি বন্ধ হয়ে গেছে।
কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সেন্টার বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে।
অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ।
ফিটজির কিছু সেন্টারের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে ফিটজি কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত সমস্যা সমাধান করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা এবং অভিভাবকদের উদ্বেগের অবসান ঘটানো।